কলকাতা: বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার৷ ফের এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে দেখা গেল মুকুল রায়কে (Mukul Roy)৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর, এদিনও বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন তিনি৷ দুপুরের পর থেকে তাঁর স্নায়ু এবং লিভারের পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা৷ তাঁর সিটি স্ক্যানও (City Scan) করা হয়েছে৷ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর ঘরে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করেন তৃণমূল নেতা৷ তার পর বিকেল নাগাদ এসএসকেএম থেকে বেরিয়ে যান৷ বেরনোর সময় বলেন, ‘আমি ভালো আছি৷’
মুকুল রায় যে অসুস্থ সেটা আগেই জানিয়েছিলেন ছেলে শুভ্রাংশু৷ দলীয় কাজে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে গিয়ে মুকুল রায় কিছু অসংলগ্ন কথা বলেছিলেন৷ তিনি বলেছিলেন, কৃষ্ণনগর উপনির্বাচনে তৃণমূল হারবে৷ বিজেপি জিতবে৷ তাঁর মুখে এমন কথা শুনে চমকে যায় রাজনৈতিক মহল৷ প্রশ্ন ওঠে, তৃণমূলে ফিরে এলেও মুকুলের মন কি পড়ে বিজেপিতে? যদিও মুকুল পরে নিজের বক্তব্য শুধরে নিয়েছিলেন৷ কিন্তু ওই সময়ই শুভ্রাংশু জানিয়েছিলেন, বাবা অসুস্থ৷ তাঁর শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্য মাঝে মধ্যেই নষ্ট হয়৷ যে কারণে সাময়িক স্মৃতিভ্রংশ ঘটে তাঁর৷ এছাড়া মুকুল মানসিক অবসাদেও ভুগছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে দাবি করা হয়৷ স্ত্রী কৃষ্ণা রায়ের মারা যাওয়ার পর এই অসুস্থতা আরও বেড়ে যায়৷
আরও পড়ুন: নিজের গড় মুর্শিদাবাদেই বিক্ষোভের মুখে অধীর
এখন প্রশ্ন উঠছে, মুকুলের অসুস্থতা কি আরও বেড়ে গিয়েছে? পর পর দু’দিন তাঁর এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাওয়া নিয়ে এই প্রশ্ন উঠেছে৷ আজ দুপুর ১টা নাগাদ এসএসকেএমে আসার পর মুকুলের বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর, তৃণমূল নেতার স্নায়ুর পরীক্ষা করে দেখেন বিশিষ্ট চিকিৎসক গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়৷ যদিও তাঁর স্নায়ুতে বিশেষ সমস্যা খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ এর পর শহরের নামজাদা গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজিস্ট অভিজিৎ চৌধুরী তাঁকে পরীক্ষা করেন৷
আরও পড়ুন: রাজ্যের ২২টি ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভুয়ো, জানাল এআইসিটিই
সূত্র মারফত খবর, শারীরিক পরীক্ষায় মুকুলের লিভারে সমস্যা ধরা পড়েছে৷ যে কারণে তাঁর হজম সংক্রান্ত নানা অসুবিধা হচ্ছে৷ এর পর মুকুলের সিটি স্ক্যান করা হয়৷ যদিও সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট এখনও জানা যায়নি৷ লক্ষ্যণীয়, তিনি ঘন ঘন এসএসকেএম গেলেও এখনও হাসপাতালে ভর্তি হননি৷ তিনি যদি খুব অসুস্থ হন, তাহলে হাসপাতালে কেন ভর্তি হচ্ছেন না সে প্রশ্ন উঠছে৷ যদিও মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে দাবি, আগে ঠিক মত রোগ নির্ণয় হোক৷ চিকিৎসা শুরু হোক৷ তার পর দরকার পড়লে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হবেন৷