কলকাতা: বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজারকে ভরসা করেছিলেন এক ব্যক্তি। তার জেরেই খোওয়াতে হল প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা। ম্যানেজারের সূত্র ধরে গ্রেফতার অন্যতম অভিযুক্ত শুভংকর পাণ্ডে ও এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস।
দমদমের বাসিন্দা ৭৯ বছরের প্রদীপ কুমার চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এক বেসরকারি ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার শুভংকর পাণ্ডের সঙ্গে পরিচয় হয়। নিজের কোনও সন্তান না থাকায় অভিযুক্তকে নিজের ছেলের মতোই ভালোবেসেছিলেন তিনি। তাকে বিশ্বাস করে ওই ব্যাঙ্কে জমানো কিছু টাকা ওই বৃদ্ধা নিজের স্ত্রীয়ের নামে রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরপরেই অভিযুক্ত অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার বৃদ্ধকে প্রস্তাব দেয় ওই ব্যাংকেই বৃদ্ধের স্ত্রীর নামে সব টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে। সেই অনুযায়ী বৃদ্ধ নিজের ব্যাংকের সমস্ত তথ্য এবং ৩৭ লক্ষ টাকা অভিযুক্তের হাতে তুলে দেন।
এই ঘটনার বেশ কয়েক বছর পর ওই বৃদ্ধ ব্যাংকে গিয়ে তার টাকার পরিমাণ কতটা বেড়েছে সেটা খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন তাঁর স্ত্রীয়ের নামে কোনও ফিক্সড ডিপোজিট নেই। এরপরই বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার দারস্ত হন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানা। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার শুভংকর পাণ্ডেকে। তার থেকেই পুলিস জানতে পারে বৃদ্ধের থেকে নেওয়া টাকা অভিযুক্ত ফিক্সড ডিপোজিট না করে অন্য অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার করেছে।
এরপরই সেই অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে উত্তর দমদমের বাসিন্দা সিক্তা বিশ্বাসকে তলব করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস। তবে বারংবার হাজিরা এড়িয়ে যায় সে। অবশেষে সোমবার রাতে তার বাড়িতে হানা দেয় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস। অভিযুক্ত সিক্তা বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস।