কলকাতা: সোমবারই সিএএ (Citizenship Amendment Act) নিয়ে বিজ্ঞপ্তির জারির খবর সামনে আসায় নড়েচড়ে বসল নবান্ন। তড়িঘড়ি ডাকা সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bnaerjee) হুঁশিয়ারি দেন, সিএএ-র নামে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হলে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। আমরা আশঙ্কা, আজ মধ্যরাতে সিএএ ঘোষণাপ সম্ভাবনা। আগাম জানিয়ে রাখছি, এরকম কিছু হলে আমরা ছাড়ব না। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণেদিত ভাবে রমজানের আগেই নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। এর বিরোধিতা জারি থাকবে। এ কথা জানিয়ে গেলাম। বাকি কথা আগামিকাল বলব।
মমতা বলেন, আমি আগে বিজ্ঞপ্তিটা দেখে নিই। কী ধারা আছে, দেখে কাল যা বলার বলব। তবে আমি সকলকে আশ্বস্ত করছি। কেউ ভয় পাবেন না। কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া যাবে না। এটা কি ছেলের হাতের মোয়া ? তিনি বলেন, এতদিন চুপ করে বসেছিল কেন্দ্র। ভোটের আগে তারা জেগে উঠেছে। এখন বুঝতে পারছি, কেন আধার কার্ড কেড়ে নেওয়া হচ্ছিল। আমরাই একমাত্র প্রতিবাদ করি। তাই ভয় পেয়ে কেন্দ্রীয় সরকার আধার কার্ড আবার ফিরিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: রামকৃষ্ণ মঠে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করলেন মিতালি বাগ
প্রসঙ্গত, বাংলায় সিএএ আইনের সক্রিয় বিরোধিতা করে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা রাস্তায় নেমে মিছিল করেন। ক্যা ক্যা, ছি ছি বলে স্লোগান তোলেন তিনি। এদিকে নবান্নে সন্ধ্যায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক বসে। এডিজি সব জেলাকে সতর্ক করেন। মুখ্যসচিব পুলিশ এবং প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে ওই বৈঠকে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। সূত্রের খবর, মিটিং, মিছিল নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে জেলাগুলিকে।
এদিকে বিজেপি এই বিজ্ঞপ্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। দলের রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, বহুদিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ কার্যকর করার কথা বলে আসছে। অবশেষে লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণ হল। আজ থেকে দেশের কেউ আর উদ্বাস্তু নন। তৃণমূল-সহ বিরোধীরা সাধারণ মানুষকে সিএএ নিয়ে বিভ্রান্ত করছিল। ভোটের মুখে তারা এই নিয়ে বাজার গরম করতে নামবে। আমরা বাংলার মানুষকে বলছিস, বিভ্রান্ত হবেন না। এটা একটা ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
অন্য খবর দেখুন