এতদিন রাজ্যপালের কাজের বিরোধীতা করেছে শুধুমাত্র তৃণমূল। এবার একইসুর বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর গলায়। রাজনৈতিক মহলের মতে রাজ্যপাল প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানের মন্তব্য যথেষ্ট তাপর্যপূর্ণ। বিমানবাবুর দাবি, রাজ্যপাল বিজেপির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। রাজ্যপাল সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করছেন।
রাজ্যপালের ভূমিকা বিজেপি সুলভ। রাজ্যের যেকোনও জায়গায় যেতে পারেন রাজ্যপাল। কিন্তু বিজেপি নেতাদের সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া রাজ্যপালের উচিত নয়। বুধবারের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের এভাবেই সমালোচনা করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।
রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গে গেছেন। কিন্তু বিজেপি নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরচ্ছেন কেন? রাজ্যপাল বিজেপির প্রতিনিধি হয়ে কাজ করছেন
রাজ্যপাল একজন নিযুক্ত পদাধিকারী। মন্ত্রীরা নির্বাচিত প্রতিনিধি। সুতরাং উভয়ের মধ্যে বাক্য বিনিময়ের সামঞ্জস্য থাকা উচিত।
রাজ্যের বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলতে পারেন না রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে যে কাজ করছেন সোমবারের ঘটনায় তা পরিষ্কার। করোনার আবহে রাজভবন থেকে মাত্র কয়েকজন বিধায়কদের যাবার অনুমোদন থাকলেও বিধানসভার বিজেপি বিধায়করা সমবেতভাবে রাজভবনে যান। তাঁদের নিয়ে রাজ্যপাল বারান্দায় বৈঠক করেন। বিষয়টি নজিরবিহীন বলেও মন্তব্য বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানের।
এদিন বামফ্রন্টের ১৬টি দলের বৈঠকের পর পেট্রোপণ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাস্তায় নামবে বামফ্রন্ট বলে জানান বিমান বাবু।
করোনা সংক্রান্ত চিকিৎসায় ব্যবহৃত সকল ওষুধ, অক্সিজেন ও সরঞ্জামের ওপর জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিও জানান এই বর্ষীয়ান বাম নেতা।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যে বেসরকারি ও সরকারি কার্যালয়ে কর্মচারীদের পৌঁছনোর ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জিও জানান তিনি। অন্যদিকে কংগ্রেস ও আইএসএফ ও ফরোয়ার্ড বালকের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিমান বাবু।