কলকাতা: সংসদ হামলার ঘটনায় দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) সঙ্গে এবার সক্রিয় কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) এসটিএফ (STF)। নজরে সংসদ হামলার মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝায়ের (Lalit Jha) এনজিও। একাধিক এনজিওকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সব এনজিওগুলোর সঙ্গে কারা কারা যুক্ত আছে। কী কাজ হত যাবতীয় দিক খতিয়ে দেখছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। পুলিশ জানতে পারে, সাম্যবাদী সুভাষ সভা, পুরুলিয়া ভিত্তিক এই এনজিও। এডিটর পদে ললিত ঝা। ফেসবুকে জ্বলজ্বল করছে এই এনজিওর অ্যাকাউন্ট। দেখা যাচ্ছে ২০২২ সালে খোলা হয়েছে সেই অ্যাকাউন্ট। ইনস্টগ্রামেও অ্যাকাউন্ট। ইনস্টাগ্রামে ওই অ্যাকাউন্টে আছে ললিত ঝায়ের ছবি। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে কলকাতায় ললিত সমাজসেবীর কাজ করছে। ভগত সিং ক্রান্তিকারী মোর্চা- কলকাতা ভিত্তিক এনজিও। ফেসবুকে রয়েছে অ্যাকাউন্ট। ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর ওই অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। ললিত ঝায়ের ফোন নম্বর ও ইমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে ওই অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।
সংসদ হামলার (Parliament Security Breach) অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা(Lalit Jha)-র দ্বিতীয় বাড়ির হদিশ। বাগুইআটির হেলাবটতলার পালপাড়ায় প্রায় তিন বছর ধরে বাবা-মা ও ভাইয়ের সঙ্গে ভাড়া থাকত ললিত। প্রতিবেশীদের দাবি, ১০ ডিসেম্বর ললিতের বাবা-মা ও ভাই তাদের দেশ বিহারে চলে যায়। তবে ললিত কিন্তু পালপাড়ার এই বাড়িতেই ছিল। প্রতিবেশীদের আরও দাবি, ললিত যাওয়ার সময় তাঁদেরকে জানিয়ে গিয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই সে ফিরে আসবে। পেশায় শিক্ষক ললিতকে স্থানীয় বাসিন্দারা সবাই ভালো ছেলে বলেই জানে। ইতিমধ্যে ললিতের এই বাড়িতে পুলিশ গিয়ে প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সংসদে রঙিন ধোঁয়া (Parliament Security Breach) ছড়ানোর ঘটনার মূল চক্রী শিক্ষক ললিত ঝায়ের (Lalit Jha) সঙ্গে বঙ্গ-যোগ মিলেছে। ললিত ঝা সমাজকর্মী হিসেবে পরিচিত এবং বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার (NGO) সঙ্গে জড়িত। কলকাতার বেশ কিছু সামাজিক অনুষ্ঠানে তাকে দেখা গিয়েছে। বাংলার পুরুলিয়া (Purulia) এবং ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলায় তার বিশাল কর্মকাণ্ড রয়েছে।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে সমাবর্তন করার অনুমতি দিল উচ্চশিক্ষা দফতর
আরও খবর দেখুন