কলকাতা: ফের শহর কলকাতার বুকে সিন্ডিকেট রাজের দৌরাত্ম্য। দুই গোষ্ঠীর বিবাদে বাঁশদ্রোণী এলাকায় প্রকাশ্যেই চালানো হল গুলি। ঘটনায় আহত হয়েছেন মলয় দত্ত ও বাচ্চু সিং নামে দুই ব্যক্তি। তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিস। খতিয়ে দেখা হচ্ছে গোটা বিষয়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ কলকাতার বাঁশদ্রোণী এলাকায় সিন্ডিকেট নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। চালানো হয় গুলি। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় বাসিন্দা মলয় দত্ত৷খবর দেওয়া হয় পুলিসে। পুলিস এলেই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় সিন্ডিকেটের সদস্যরা।
গুলিবিদ্ধ দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বাঙুর হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গুলি মলয় দত্ত নামের ওই ব্যক্তির বুকের ডান দিকে লেগেছে। এরপরেই তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় এসএসক হাসপাতালে। বাচ্চু সিংয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় সিন্ডিকেট রাজের দৌরাত্ম্যের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর। তিনি জানান, এটা সিন্ডিকেটের বিষয় নয়। ওদের ব্যক্তিগত কোনও ঝামেলা।
আরও পড়ুন- Jadavpur University: যাদবপুরে ছাত্র নেতার আস্ফালন, প্রতিবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সমিতির
সোমবারই দুই সিন্ডিকেট গোষ্ঠীর তুমুল মারামারি হয় দক্ষিণ কলকাতার লেক গার্ডেন্স এলাকায় তৃণমূলের বর্ষিয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়ির সামনে। একটি পুরানো বাড়ি ভাঙার বরাত নিয়ে পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়। সামাল দিতে সৌগত রায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। তিনি নিজেই লেক থানায় ফোন করেন। সাংসদের ফোন পেয়ে পুলিস আসে। ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিস পিকেট বসানো হয় ওই এলাকায়।
দিন কয়েক আগেও বেহালার চড়কতলায় এলাকার দখলদারি নিয়ে তৃণমূলেরই দুই সিন্ডিকেট গোষ্ঠীর লড়াই হয়। অভিযোগ, সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে তৃণমূলের এক যুব নেতার নেতৃত্বে তার অনুগামীরা দিন পাঁচেক আগে চড়কতলায় তারা তিন ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায়। লাঠিসোঁটা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় তারা। স্থানীয় একটি আবাসনে ঢুকেও বাসিন্দাদের উপর হামলা করা হয়। পাঁচদিন পর সোমনাথকে রবিবার হাওড়ার জয়পুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। মঙ্গলবার আবারও শহরে সিন্ডিকেট নিয়ে অশান্তি স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তায় ফেলেছে প্রশাসনকে।