কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা সঞ্জীব প্রামাণিকের একটি আস্ফালন-অডিয়ো ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সংগঠনের কোনও এক বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনও সিক্ষকের তিনি জামার কলার ধরার ক্ষমতা রাখেন বলে আস্ফালন শোনা গিয়েছে ওই অডিয়োতে।যদিও সেই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি ডিজিটাল। তবে ওই কথা যে তিনি বলেছেন, তা স্বীকার করেছেন সঞ্জীব। সেই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সমিতি। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এবং বিভিন্ন বাম সংগঠন প্রতিবাদী মিছিলও করতে পারে।
এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সমিতি বলে, এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর কখনও ছাত্রছাত্রীরা কিংবা কখনও বহিরাগতরা হামলা করছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনা তারই অনিবার্য পরিণতি। সমিতির দাবি, ছাত্র-শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর পারস্পরিক বোঝাপড়ার ফলেই বিশ্ববিদ্যালয় আজ চরম উৎকর্ষ লাভ করেছে। এক গবেষকের এরকম নিকৃষ্ট মন্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির পরিপন্থী। এধরনের কথাবার্তা সামগ্রিক পরিকাঠামোর উপর আঘাত হানতে পারে।
আরও পড়ুন: Bankura Fire: বাঁকুড়ার অফিস বাড়িতে তারের জঙ্গল, জতুগৃহ নিয়ে ক্ষুব্ধ দমকল
ওই অডিয়োতে সঞ্জীবকে বলতে শোনা গিয়েছে, জুটার যে কোনও শিক্ষকের কলার ধরার ক্ষমতা রাখি আমি। সঞ্জীব প্রামাণিক ছাড়া আর কারও সেই সাহস নেই। আমার অওকাত এখানে উপস্থিত অনেকেরই জানা নেই।
তবে ওই কথা যে তিনি বলেছেন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন সঞ্জীব। তিনি বলেন, এটা রূপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএমসিপি ছাগলের তৃতীয় সন্তান হয়ে রয়েছে। কেন এটা হবে। তাঁর দাবি, আগামী দিনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এখানে ছাত্র সংসদ গঠন করবে। তিনি জানান, কোনও অভ্যন্তরীণ বৈঠকে হয়ত এসব কথা বলা হয়েছিল। এটা তো বাইরে যাওয়ার কথা নয়।
আরও পড়ুন: Netaji Battalion: কলকাতা পুলিসে নতুন সংযোজন নেতাজী ব্যাটালিয়ন, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর