কলকাতা: মৃত্যু হল জোড়াবাগানকাণ্ডে আহত যুবক ওমপ্রকাশ শর্মার৷ বুধবার আহিরীটোলার বি কে পাল অ্যাভিনিউয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা তাঁকে৷ রাস্তার ধার থেকে রক্তাক্ত ও অচৈতন্য ওই যুবককে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ সেখানেই চিকিৎসা চলছিল ওমপ্রকাশের৷ বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় সাতাশ বছরের ওই যুবকের৷
কেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন ওমপ্রকাশ৷ পড়ে গিয়ে আহত হয়েছিলেন৷ নাকি কেউ তাঁকে আঘাত করেছে৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জোড়াবাগান থানা ও লালবাজার৷ ইতিমধ্যেই ওই এলাকা থেকে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ সেখানে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ওম প্রকাশ নেশাগ্রস্ত ছিল৷ তাই মঙ্গলবার রাতে নেশা করার সময় কারও সঙ্গে বচসা হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ পুরোনো শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের৷
অভিযোগ, গত মঙ্গলবার রাতেই অন্ধকারে থেঁতলে দেওয়া হয় ওমপ্রকাশের মাথা। বুধবার সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন ওমপ্রকাশের বাবা ও মা। ঘটনাস্থলের কিছুটা দূরেই একটি ইট পড়েছিল। তাতে লেগে ছিল রক্তের দাগ। তারপরই চিকিৎসার জন্য তড়িঘড়ি আহত ওমপ্রকাশকে নিয়ে যাওয়া হয় আরজিকর হাসপাতালে।
বুধবারের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ন’য়ের দশকের স্টোনম্যান আতঙ্কের কাহিনি। ১৯৮৯ সালের জুন মাসেই স্টোনম্যানের হত্যাকাণ্ড শুরু হয়। একই কায়দায় পরের ছ’মাসে আরও ১২টা খুন হয় এই কলকাতা শহরে। সকলেই ছিলেন গরিব ফুটপাতবাসী। সবাইকেই রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত অবস্থায় ভারী পাথর বা কংক্রিটের স্ল্যাবে মাথা থেঁতলে খুন করা হয়। তিন দশক পেরিয়ে গেলেও সেই রহস্যের কিনারা আজও হয়নি।