বিধাননগর: এটিএম জালিয়াতির তদন্তে বড় সাফল্য পেল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। আন্তঃরাজ্য এটিএম প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস করল তারা। চক্রের অন্যতম পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে বাগুইআটির বাসিন্দা এক বৃদ্ধ অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা উধাও হয়ে যায় বলে অভিযোগ। কেওয়াইসি আপডেটের নামে টাকা হাতানো হয়।
২৪ মে বাগুইহাটির বাসিন্দা রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন। তিনি জানান, ২৩ মে সকালে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ম্যানেজার হিসাবে পরিচয় দিয়ে কুণাল সরকার নামে এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে কেওয়াইসি আপডেট করতে বলেন। প্রথমে ফোনটি কেটে দেন রমাবাবু। কিছুক্ষণ বাদেই তাঁর ফোনে অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ হাজার ২৫ টাকা কাটার এসএমএস আসে।
এরপর কুণাল সরকার নামক ব্যক্তিটিকে ফোন করেন বৃদ্ধ। ওই ব্যক্তির কাছে নিজের ডেবিট কার্ড নম্বর এবং একটি ওটিপি শেয়ার করেন। তখনই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৩ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা উধাও হয়ে যায় এবং অভিযুক্ত ফোন কেটে দেন। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানান তিনি।
এই ঘটনা তদন্তে শনিবার আসানসোলে হানা দেয় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম পুলিশ। সেখান থেকে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা রাজেশকুমার মণ্ডল নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এই প্রতারণার ঘটনায় একটি চক্র যুক্ত রয়েছে। ধৃত ব্যক্তি এই চক্রটিকে পরিচালনা করতো।
রাজেশ নিজের নাম পরিবর্তন করে বৃদ্ধকে প্রতারিত করেছে বলে সাইবার ক্রাইম অফিসারদের প্রাথমিক অনুমান। শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক নয়, বিভিন্ন প্রাইভেট ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পরিচয় দিয়েও এই চক্র প্রতারণা চালাত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অভিযুক্তের কাছ থেকে একটি ডেবিট কার্ড, একটি এলইডি টিভি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃদ্ধের থেকে কাছ থেকে হাতানো টাকা দিয়ে আসানসোলের একটি দোকান থেকে টিভিটি কেনেন অভিযুক্ত। রবিবার অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। এই চক্রের সঙ্গে আর কাদের যোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।