কলকাতা: আদর্শ আচরণবিধি (Model Code of Conduct) চালু হওয়ার পর চারদিনেই লক্ষাধিক অভিযোগ জমা পড়ল নির্বাচন কমিশনে (National Election Commission)। বুধবার অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী সাংবাদিক বৈঠকে জানান, এদিন পর্যন্ত রাজ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৭২৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তার মধ্যে কোচবিহার থেকে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে, ৫৭২৬টি। আলিপুরদুয়ার থেকে ৩৪৫৮ এবং জলপাইগুড়ি থেকে ১৯২৩টি অভিযোগ এসেছে। নির্বাচনী আধিকারিক জানান, সি ভিজিল অ্যাপে সাধারণ মানুষের অভিযোগ কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র থেকে এসেছে নয়টি। এখনও পর্যন্ত ৮১ কোটি ২১ লক্ষ টাকা মূল্যের বেআইনি সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে নগদ টাকাও রয়েছে।
গত শনিবার নির্বাচন কমিশন দেশে ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে। সেদিনই আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে প্রথম দফার ভোট হবে ১৯ এপ্রিল। ওইদিন ভোট হবে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি আসনে। বুধবার থেকে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া শুরু হয়েছে। তিন কেন্দ্রের জন্য তিন পর্যবেক্ষক পৌঁছে গিয়েছেন। পৌঁছে্ছেন তিন আর্থিক পর্যবেক্ষকও। তাঁরা আর্থিক লেনদেন থেকে শুরু করে ভোটের খরচ ইত্যাদির উপর নজরদারি চালাবেন। ভোটের সময় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি দেখার জন্য কমিশন রাজ্য ও কেন্দ্রের বিভিন্ন এজেন্সির সাহায্য নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: গার্ডেনরিচে ক্ষতিপূরণ, মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব নির্বাচন কমিশনের
ভোট ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। মঙ্গলবার রাতে কোচবিহারের দিনহাটায় বড় ধরনের রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয় বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে। রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক এবং রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহের অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বচসা এবং ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন দুই মন্ত্রীও। গোলমালের মধ্যে পড়ে জখম হন এসডিপিও-সহ জনা কয়েক পুলিশকর্মী। দুই দলেরও কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দিনহাটায় গিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তিনি রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে দিনহাটা নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছেন। রাজ্যপাল বলেন, ভোটে হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। আমি নিজে রাস্তায় থাকব ভোটের দিনগুলিতে। নির্বাচন কমিশনকে দিনহাটা নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন দফতর।
আরও খবর দেখুন