কলকাতা: বিএসএফ ইস্যুতে মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের (Chief Secretary) উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। বিএসএফ-রাজ্য পুলিশ (BSF) সমন্বয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন ধনখড়। শনিবার বিকেল ৪টে ৫০ নাগাদ রাজভবনে (Jagdeep Dhankhar) যান রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। বিএসএফ ইস্যু ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ নিয়েও মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
দিনদুয়েক আগে বিএসএফ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থানের কড়া সমালোচনা করে রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া চিঠিও দেন তিনি। তাতে লেখেন, ‘বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করার আবেদন জানাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রী অবস্থান কেন্দ্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে উদ্বেগজনক।’ রাজ্যপালকে পাল্টা চিঠি দেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।
এর পরই রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে তলব করেন ধনখড়। আজকের বৈঠকের বিষয়ে রাজ্যপাল টুইটে লিখেছেন, ‘বিএসএফ-রাজ্য পুলিশ সমন্বয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে।’ আরেকটি টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, ‘সংবিধানের ১৬৬ এবং ১৬৭ নম্বর আর্টিকেলের অবহেলা অব্যাহত রয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে এই বিষয়টি মুখ্যসচিবকে দেখতে বলেছি।’
আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar: ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত, বিএসএফ ইস্যুতে মমতার অবস্থানের কড়া সমালোচনা ধনখড়ের
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1469649279450976257?s=20
এর আগেও রাজ্য পুলিশ এবং বিএসএফের সমন্বয়ের উপর জোর দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি টুইটে লিখেছিলেন, ‘রাজ্য সরকার, রাজ্য পুলিশ এবং বিএসএফের মধ্যে দ্বন্দ্ব নয়, বরং বন্ধুত্ব তৈরি করতে হবে। পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। এই সংস্থাগুলির মধ্যে লড়াই একেবারেই কাম্য নয়। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতার প্রয়োজন, যাতে তাল মিলিয়ে কাজ করা যায়।’