কলকাতা: রাজ্যের শাসকদল সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনার দায় চাপাল ইডি-সিবিআই (ED-CBI), কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের উপর। তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র এবং সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের অভিযোগ, সন্দেশখালির ঘটনা বিজেপি পরিকল্পিতভাবে তৈরি করেছে। তারা ইডিকে দিয়ে প্ররোচনার সৃষ্টি করেছে। লাগাতার এই জিনিস চলছে। শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চক্রান্ত চলছে। বিজেপির নির্দেশে এজেন্সিকে দিয়ে এই সব ঘটানো হচ্ছে। এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। আর এক ধাপ এগিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, সন্দেশখালির ঘটনা স্থানীয় মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। ইডি, সিবিআইয়ের লাগাতার প্ররোচনায় বাংলার মানুষ বিরক্ত এবং হতাশ। শান্তনুর দাবি, এদিনও কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ইডির অফিসাররা সন্দেশখালির মানুষকে উত্ত্যক্ত এবং প্ররোচিত করেছেন। তার পর সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। একই দাবি কুণালেরও।
এদিকে নবান্নের দাবি, ইডির এই অভিযানের কথা রাজ্য পুলিশ জানতই না। ইডি অফিসারদের উপর হামলার খবর রাজ্যের উচ্চ পর্যায়ের অফিসারদের কাছে আসে সকাল নটা নাগাদ। তার আগেই অবশ্য খবর পাওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্য পুলিশ ইডি অফিসারদের উদ্ধার অভিযানে নামে। পুলিশ যাওয়ার পর আর কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি। শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল বলেন, ইডির এই অভিযানের কথা রাজ্য পুলিশকে জানানো উচিত ছিল। কোন এলাকা স্পর্শকাতর, তা না জেনেই ইডি অফিসাররা তল্লাশিতে চলে গিয়েছেন। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি, ইডি বা সিবিআই তল্লাশি চালানোর আগে রাজ্য সরকারকে জানানো বাধ্যতামূলক নয়।
আরও পড়ুন: ব্লেড রানার অস্কার পিস্টোরিয়াস জেল থেকে ছাড়া পেলেন
এদিন কুণাল বলেন, লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, তত ইডি, সিবিআই পাগলের মতো তল্লাশির নামে নেতিবাচক খবর তৈরির চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির লোক। ওরা শুধু তৃণমূল নেতাদের বাড়ি অভিযান চালাচ্ছে শাসকদলকে ব্যতিব্যস্ত করার জন্য। তাঁর অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা, চোর শুভেন্দু পরিকল্পিতভাবে ধারাবাহিক প্ররোচনা দিচ্ছেন। তিনি আগেভাগে বলে দিচ্ছেন, কবে কার বাড়িতে ইডি এবং সিবিআই অভিযান চালাবে। কুণাল বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর শুভেন্দু সন্দেশখালিতে এক সভায় শেখ সাজাহানের নাম করে বলেছিলেন, তাঁর বাড়িতেও অভিযান হবে। তার পরই আজ ইডি সাজাহানের বাড়িতে চলে গেল। এর থেকেই বোঝা যায়, ইডি, সিবিআই কাদের কথায় চলছে। মুখপাত্র বলেন, শুভেন্দুকে নারদ কেলেঙ্কারিতে তোয়ালে মুড়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। সারদা কাণ্ডে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর রয়েছে। একবারও তো ইডি, সিবিআই শুভেন্দুকে ডাকছে না।
আরও খবর দেখুন