কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চলতি সপ্তাহেই রাজ্যের চার ধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্তভার নেন কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল কমিশনার দময়ন্তী সেন। তারপরই স্বমহিমায় রাজ্যের প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান। দেগঙ্গা ধর্ষণ-কাণ্ডে তদন্তকারী অফিসার সহ তিন পুলিস আধিকারিককে শনিবার লালবাজারে ডেকে পাঠান দময়ন্তী।
গত ২৮ মার্চ উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় পটলের খেত থেকে এক মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়দের দাবি ছিল, মদ খাইয়ে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। ঘটনাস্থল থেকে মদের বোতলও উদ্ধার করে পুলিস। সেই ধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার অসীম কুমার দাসকে এদিন বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ লালবাজারে তলব করলেন দময়ন্তী সেন। তিন উচ্চপদস্থ পুলিস অফিসারকেও তলব করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলেই দেগঙ্গা ধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত জোহর আলী মোল্লাকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে দেগঙ্গা থানার পুলিস।
শুধু দেগঙ্গা নয়, এদিন মালদহের ইংরেজবাজার এবং উত্তর ২৪ পরগনার মাটিয়া ধর্ষণকাণ্ডের তদন্তকারী মোট ছয় অফিসারকেও তলব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: এই রায় বিদ্বেষকামী ও অত্যাচারীর বিরুদ্ধে, জয়ের পর টুইট অভিষেকের
২৭ মার্চ ইংরেজবাজারে বাড়িতে ঢুকে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় এক অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিস। এই ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। সম্প্রতি এই ঘটনা সহ মোট চারটি ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশ দেয় আদালত। আইপিএস দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে হবে তদন্ত।
ইংরেজবাজার ছাড়াও মাটিয়া, দেগঙ্গা, বাঁশদ্রোণী- ধর্ষণ মামলার তদন্তে নেতৃত্বে থাকবেন দময়ন্তী। আদালত জানিয়েছে, রাজ্য এ বিষয়ে কথা বলবে দময়ন্তী সেনের সঙ্গে। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ২০ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি। পাশাপাশি রাজ্য এত দিন কী তদন্ত করল, তার রিপোর্ট জমা দেবে আদালতে।