কলকাতা: তিন নম্বর রবিনসন স্ট্রিটের ঠিকানা পার্থ দে ছ’মাস ধরে মৃত দিদি এবং দুই কুকুরের দেহ আগলে রেখেছিল৷ ছ’মাস পর সেই দেহ উদ্ধার হয়৷ এবার একই রকম ঘটনা গড়ফায়৷ ছেলে কৌশিক দে মৃত বাবার দেহ তিন মাস ধরে আগলে রেখেছিল৷ মৃতদেহটি পচে একেবারে প্রায় বিছানার সঙ্গে মিশে গিয়েছে৷ প্রায় কঙ্কালে পরিণত হয়েছে৷ চোখ-নাক-মুখ কোনও কিছু দেখে চেনার উপায় নেই৷ এলাকার বাসিন্দারা বেশ কিছুদিন ধরেই পচা দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন৷ রবিবার রাতে গড়ফার ওই বাড়িতে গিয়ে প্রতিবেশীরা ছেলেটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে৷ পরে দেহ উদ্ধার হয়৷
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতা মেট্রোয় ফিরছে টোকেন
খবর পেয়ে কে পি রায় লেনের ওই বাড়িতে পৌঁছয় গড়ফা থানার পুলিশ৷ প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, কৌশিক দে মানসিকভাবে সুস্থ নন৷ তাই মৃত্যুর পর বাবা সংগ্রাম দে (৭০)-র মৃতদেহ আগলে রেখেছিল সে৷ যদিও তিন মাস আগেই মৃত্যু হয়েছিল সংগ্রাম দে-র৷ মা অরুণা দে (৬৫) বেঁচে আছেন৷ তবে তিনি পক্ষাঘাতে আক্রান্ত৷ সংগ্রাম দে সল্টলেকের ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের কর্মী ছিলেন৷ কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট নয়৷ ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে৷ তাই দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে৷