কলকাতা: শহরের ১১টি দুর্গা মণ্ডপে প্রতিমার শরীর ঢেকেছে কোটি কোটি টাকার সোনা এবং রুপোর গয়নায়। এতেই ঘুম ছুটেছে লালবাজারের। কোটি কোটি টাকার গয়না সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ পুলিশ বাহিনী মজুত রাখা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা প্রতিমার গয়নায় নজর রেখেছেন রাইফেলধারী দুই কনস্টেবল, অ্যাসিস্ট্যান্ট, সাব-ইন্সপেক্টর এবং সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা। পাশাপাশি মণ্ডপে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় সর্বক্ষণ কড়া নজরদারি। সোমবার ষষ্ঠী থেকে পুলিশি নজরদারি রাখা হয়েছে। বিসর্জন পর্যন্ত নজরদারি চলবে।
শহরে মোট পুজোর সংখ্যা ২৭১৩। এ কারণে পুজোর ভিড় সামাল দিতে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছে প্রায় কুড়ি হাজার পুলিশ কর্মী। তারমধ্যে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, আহিরীটোলা বারোয়ারি, ম্যাডক্সোয়ার, একডালিয়া এভারগ্রিন, বাদামতলা আষাঢ় সংঘ সহ মোট ১১ পুজোর প্রতিমাকে সোনা এবং রুপোর গয়নায় সাজানো হয়েছে। যদিও কোভিড বিধি মেনে কোন মণ্ডপে দর্শনার্থী ঢুকতে পারবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। গোয়েন্দা-পুলিশের চিন্তা শহরের কুখ্যাত চোরেদের নিয়ে। সুযোগ বুঝে যদি তারা প্রতিমার শরীর থেকে গয়না চুরি করে পালায়? তাই প্রতিমার গয়নার উপর সর্বক্ষণ নজর রেখে চলেছে গোয়েন্দা পুলিশ। অবশ্য প্রতিমার গয়নার উপর নজরদারি রাখার জন্য অনেক আগেই লালবাজারে আবেদন করেছিল পুজো কমিটি গুলি। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান লালবাজারের কর্তারা।
আরও পড়ুন-ইজেডসিসিতে বিজেপির পুজো উদ্বোধনে শুধুই রাজ্য নেতৃত্ব
অন্যদিকে, ষষ্ঠীর দিন থেকেই প্রতিমা দর্শনার্থীদের ভিড় রাস্তায় উপচে পড়ে। এর ফলে বিভিন্ন রাস্তায় যানজট তৈরি হয়। সন্ধেয় লালবাজার সূত্রে খবর, উত্তর কলকাতার উল্টোডাঙ্গা, হাতিবাগান, শ্যামবাজার, কাঁকুড়গাছি সহ একাধিক রাস্তায় তীব্র যানজট রয়েছে। দক্ষিণ কলকাতায় দর্শনার্থীদের ভীড় উপচে পড়লেও গাড়ি চলছে মন্থর গতিতে।