কলকাতা: ১১ বছর পর্যন্ত বয়সিদের মাস্ক (Third Wave of Corona India) পরার ক্ষেত্রে কনোও বাধ্যবাধকতা জারি করেনি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আবার প্রথম সারির করোনা (Covid India) যোদ্ধা সহ স্কুলের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশেরই টিকার (Corona India) দুটি ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ১১ বছর বয়সি শিশুদের করোনা (Omicron Virus) থেকে বড় ধরনের বিপদের আশঙ্কা নেই বলেই মনে করছেন চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা।
প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কেন মিছিমিছি শিশুদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ রাখা হচ্ছে? প্রায় দু’বছর ধরে স্কুলে যেতে না পারায় বহু শিশু মানসিক অবসাদে ভুগছে। তাঁদের নিয়ে চিন্তা বাড়ছে অভিভাবকদেরও। অনেক অভিভাবকও মানসিক অবসাদের শিকার হচ্ছেন। এই আবহে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা চান, অবিলম্বে বাচ্চাদের জন্য স্কুলের (Covid School Reopen) দরজা খুলে দেওয়া হোক। তারা আবার স্কুলের পরিবেশ ফিরে পাক।
শহরের বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সুমন পোদ্দারের মতে, আর কালবিলম্ব না করে ১১ বছর পর্যন্ত বয়সি শিশুদের স্কুলে যাওয়ার ছাড়পত্র দিক সরকার। কারণ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী ১১ বছরের শিশুদের মাস্ক না পরলেও চলবে। আর ৫ বছর পর্যন্ত শিশুদের পক্ষে মাস্ক পরে থাকা খুবই সমস্যার। তাছাড়া ৬ থেকে ১১ বছরের শিশুদের যে কোনও বয়সের মানুষের থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি থাকে। তিনি বলেন, ওমিক্রনে তেমন খুব একটা বাড়াবাড়ি হয় না। হলেও ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেরে যায়। এবারে যেহেতু মৃত্যুর হার কম তাই ভয়টাও কম। যেখানে দ্বিতীয় ঢেউ সামলে নিয়েছে দেশ, সেখানে এই পরিস্থিতি কিছুই না। আশা করি, এটাও সামলে নেওয়া যাবে। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্থিতিশীল। তাও কেন স্কুল খোলার চিন্তা ভাবনা করছে না সরকার, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
শহরের আর এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস জানিয়েছেন, ৫ বছর পর্যন্ত শিশুদের আসলে মাস্ক ক্যারি করা সম্বব নয়। তারা জানেই না মাস্ক কী? সুতরাং না বোঝা পর্জন্ত মাস্ক ব্যবহার করা সম্ভব নয়। আর ৬ থেকে ১১ বছর পর্যন্ত তো বলাই হয়েছে যে, মাস্ক পরলেও হয় না পরলেও হয়। কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। বরং এত ছোট বয়স থেকে মাস্ক মুখে থাকলে শ্বাসকষ্টও হতে পারে। পরে যার প্রভাব পড়তে পারে। তবে বাড়ির লোককে অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে। নাহলে বাচ্চার সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যাবে। ডাঃ বিশ্বাস বলেন, যেহেতু দেশের ৯০ শতাংশ মানুষই এখন ভ্যাকসিনেটেড। তাই দ্রুত স্কুল খোলার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করা যেতেই পারে। আশা করা হচ্ছে ওমিক্রনের মধ্যে দিয়েই এই অতিমারি শেষ হবে। তবে অবশ্যই সাব্ধান থাকতে হবে সকলকে।
আরও পড়ুন পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের মাস্ক পরার সুপারিশ করেনি স্বাস্থ্যমন্ত্রক