”বন্যার টাকায় দুর্নীতি। তাও চুপ করে বসে আছে রাজ্য? এতদিন ঘুমোচ্ছিলেন?” মন্তব্য হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের।২০১৭ সালের অগাস্ট মালদহে বন্যা হয়। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দিতে মালদার বড়ই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৈরি হয় ছয় সদস্যর কমিটি। কমিটি একটি তালিকা তৈরি করে জমা দেয়।
আরও পড়ুন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে জট কাটল না হাইকোর্টে
অভিযোগ, সেই তালিকা অনুযায়ী টাকা না দিয়ে টাকা দেওয়া হয় অন্য ব্যক্তিদের। অভিযোগের ভিত্তিতে দেখা যায়, যে তালিকা জমা পরেছে সেখানে একটি ফোন নম্বরের প্রেক্ষিতে অন্তত ৬ হাজার পাঁচ ৫৯৫ জন মানুষ টাকা পেয়েছেন। বাকিদের মধ্যে অধিকাংশ একই নামের দুটি বা তিনটি অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পেয়েছেন। পরে বিডিও এই বিষয়ে একটি চিঠি লিখে জানান, ‘এখানে দুর্নীতি হয়েছে। তার পরেও রাজ্য কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।’ রাজ্যের এজি (অ্যাডভোকেট জেনারেল) কিশোর দত্ত স্বীকার করে নেন, এখানে দুর্নীতি হয়েছে। গ্রেফতারও করা হয়েছে অভিযুক্তদের।
আরও পড়ুন ‘দু’টি ডোজের পরে কতজন আক্রান্ত?’ জানতে চায় আদালত
সোমবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এই প্রসঙ্গে বলেন, ” এটা স্পষ্ট যে দুর্নীতি হয়েছে। দু-বছর চুপ করে বসেছিলেন?এটা একটা গুরুতর বিষয়। ঘুমোচ্ছিলেন ? ২০১৯-এই জেলাশাসক জানিয়েছিলেন দুর্নীতি হয়েছে। তারপরেও কেন কোন পদক্ষেপ করলেন না ? যাদের সম্পূর্ণ বাড়ি ভেঙে গেছিল তাঁদের ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্য সরকার। তার কী ব্যাবস্থা হল? ”
আরও পড়ুন একই ব্যক্তিকে দু’রকমের ভ্যাকসিন, সার্টিফিকেট দেখে উদ্বেগে উপভোক্তা