কলকাতা: ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবীদের মতানৈক্যের জট কাটল না। হাইকোর্টের পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়ে আইনজীবীদের ৮0 শতাংশই দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু প্রধান বিচারপতির কাজ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও সমাধান সূত্র বের হয় নি। আইনজীবী ঋজু ঘোষাল ও আনসার আলী মন্ডল জানিয়ে দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বিষয়টি নিয়ে আগামিকাল ফের আইনজীবীদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। বেলা একটায় ওই বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে আইনজীবীরা পরবর্তী পদক্ষেপ কী গ্রহণ করবেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির এজলাসে তাঁরা সওয়াল করবেন কি না।
আরও পড়ুন- BREAKING: পেগাসাস আড়িপাতা কাণ্ডে তদন্ত কমিশন গঠন করল রাজ্য
আইনজীবিদের দাবি, আদালতের সময়সীমা বৃদ্ধি করতে হবে। পাল্টা বিচারপতিরা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে যানবাহনের অসুবিধা রয়েছে। ফলে হাইকোর্টের সমস্ত কর্মচারী আদালতে সঠিক সময় উপস্থিত হতে পারছেন না। বিষয়টির প্রয়োজনীয়তা আছে। এই অসুবিধার জন্য সময়সীমা বৃদ্ধি করা সম্ভব হচ্ছে না। এরপরই আইনজীবীরা বলেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে হাইকোর্ট কর্মচারীদের জন্য স্পেশাল যানবাহনে ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আইনজীবীদের প্রস্তাবে বিচারপতিরা জানান চিন্তাভাবনা করা হবে। তবে, কলকাতা হাইকোর্টের প্রতিটি ঘরে একটি করে কিয়ক্স করে দেওয়া হবে। যাতে আইনজীবীরা ওই কিয়ক্স থেকে ভার্চুয়ালের মাধ্যমে সওয়াল করতে পারেন। ক্রিমিনাল মামলার ক্ষেত্রে বেঞ্চের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।
আরও পড়ুন- হিংসার প্রতিবাদে হেলমেট পরে বিধানসভায় বিধায়করা
আইনজীবীদের আরও বক্তব্য, কলকাতা হাইকোর্টের আপিল এক্সাইটে রুল ভঙ্গ করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের রায় তা প্রমাণ করে। এই রায় কলকাতা হাইকোর্টের ইতিহাসে এই প্রথম। ওই রায় ও তার অনুমোদন ছাড়া বেঞ্চ বদল কলকাতা হাইকোর্টের প্রশাসনকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির এই কাজ নিয়ে আমরা আলোচনার দাবি করেন আইনজীবীরা। এ বিষয়ে বিচারপতিরা বলেন, বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন কারণ ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেল মামলা দায়ের করেছেন। তাই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন- মহারাষ্ট্রে ভুমিধসে মৃত বেড়ে ১৬৪, নিখোঁজ শতাধিক
অন্যদিকে বার অ্যাসোসিয়েশনের বিজেপি পন্থী ৮ জন কমিটি সদস্য জানিয়ে দেন আইনজীবীদের ৮0 শতাংশ দাবি মেনে নিয়েছেন হাইকোর্ট প্রশাসন। তবে ভারপ্তাপ্ত প্রধান বিচারপতির কাজ সম্পর্কে এ দিনের কোনও আলোচনা হয়নি। তবে তারা কোনও বয়কটের পক্ষে নয়।
আরও পড়ুন- মিশন ২০২৪, নেতৃত্বে মমতা ?
এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি সৌমেন সেন, বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী, বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের তিনটি সংগঠন। বার অ্যাসোসিয়েশন, বার লাইব্রেরি ও ইনকর্পোরেট ল সোসাইটি প্রতিনিধিরা।