কলকাতা: গার্ডেনরিচের (Gardenrich) অঘটনে ক্ষতিগ্রস্তদের ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের (Compensation) ঘোষণায় নির্বাচনী আচরণবিধি (Model Code of Conduct) লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠল। বিজেপির (BJP) তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনের কলকাতা অফিসে চিঠি পাঠানো হয়। বুধবার অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী জানান, এ ব্যাপারে মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
গত রবিবার কলকাতা পুরসভার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের গার্ডেনরিচ এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ায় দশজনের মৃত্যু হয়। তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। ঘটনার পরই কলকাতার মেয়র মৃতদের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেন। ওই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে্ বিতর্ক দেখা দেয়। বিরোধীরা দাবি করেন, এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র এবং সিপিএমের রাজ্যসভা সদস্য বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, সরকার এ ক্ষেত্রে কেন জনগণের করের টাকা থেকে ক্ষতিপূরণ দেবে। এটা তো বেআইনি প্রোমোটিংয়ের কারণে হয়েছে। সংশ্লিষ্টি প্রোমোটারের থেকে এই টাকা আদায় করা উচিত। তা ছাড়া এতে আদর্শ আচরণবিধিও লঙ্ঘন করা হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারেরও একই বক্তব্য। তিনি বলেন, অসাধু প্রোমোটার এই ঘটনার জন্য দায়ী। স্থানীয় কাউন্সিলর, স্থানীয় বিধায়কও দায় এড়াতে পারেন না।
আরও পড়ুন: দিনহাটা-কাণ্ড নিয়ে রিপোর্ট গেল নির্বাচন কমিশনে
মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ অবশ্য ঘটনার পর এর দায় চাপিয়েছিলেন পূর্বতন বাম সরকারের উপর। তিনি বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলরেরও কোনও দায় নেই। কোথায় বেআইনি বাড়ি হচ্ছে, তা দেখার দায়িত্ব বিল্ডিং বিভাগের। পুরসভার কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ারকে শো-কজ করা হয়েছে, কয়েকজনকে বদলিও করা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন। বদলির প্রতিবাদে বুধবার তারা পুরসভায় বিক্ষোভ দেখায়।
মঙ্গলবার মেয়র বলেন, এটা একটা সামাজিক ব্যাধি। এটা আমি বন্ধ করতে পারছি না। তবে তিনি এর দায় নিতে রাজি হননি। যদিও ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, পুরসভা বা স্থানীয় কাউন্সিলর দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। আমার ওয়ার্ডে কিছু ঘটলে আমি দায় এড়াতে পারি না।
আরও খবর দেখুন