কলকাতা: দাদাকে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন। এই দাবি করে থানায় আত্মসমর্পণ ভাইয়ের। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণী এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে আর্থিক অনটনের জেরেই দাদাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে ভাই শুভাশিস চক্রবর্তী। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ। পুলিস জানিয়েছে, মৃত দাদার নাম দেবাশিস চক্রবর্তী। ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের পাঠিয়েছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি বাঁশদ্রোণী থানায় এসে নিজেকে আত্মসমর্পণ করেন এবং স্বীকার করেন তিনি তাঁর দাদাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন। কী কারণে খুন তা জানতে চাইলে সে জানান, দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক অনটনে ভুগছিলেন। গত কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ রয়েছে তাঁর দাদা। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। দাদারে এমন অবস্থা দেখতে না পেয়েই খুন করেছেন বলে দাবি করে তিনি।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: আজ দিল্লিতে বিরোধী বৈঠক, মধ্যমণি মমতা
দাদা একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। সেখানেই তাদের মাও কর্মরত ছিলেন। গত মাসেই মারা যান তিনি। অন্যদিকে, কাজ করতে করতে হঠাৎই চোখে চোট পায় দাদা। সেই সংস্থা থেকেই তাঁকে রিটারমেন্ট দিয়ে দেওয়া।হয় এমনকি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে পেনশনও পেতেন তাঁর দাদা। কিন্তু মা মারা যাওয়ার পর ওই টাকায় সংসার চলছিল না বলে দাবি করে ভাই। দোকান থেকে ওষুধ কিনেও চিকিৎসা করা হচ্ছিল। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। মঙ্গলবার হঠাৎই দাদার এই অবস্থা দেখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে বলে জানিয়েছে ওই ব্যক্তি। তাঁকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঠিক এই কারণেই খুন নাকি এর পিছনে কোনও অন্য কোনও কারণ আছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।