কলকাতা: ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং তৃণমূলে যোগ দিতেই তড়িঘড়ি বিজেপির রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠক বসল। রাজারহাটে এক পাঁচতারা হোটেলে জরুরি বৈঠকে হাজির শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, অমিতাভ চক্রবর্তী-সহ কর্মসমিতির অন্য সদস্যরা। বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিল্লি থেকে উড়ে এসেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব।
দলীয় সূত্রের খবর, অর্জুন দল ছাড়তেই উদ্বেগ বেড়েছে বিজেপির মধ্যে। ২০১৯ সালে লোকসভার ভোটে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটের অন্যতম দাবিদার ছিলেন অর্জুন। কিন্তু দল তাঁকে ব্যারাকপুরের টিকিট না দেওয়ায় ক্ষোভে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। দল তাঁকেই ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করে। জিতেও যান অর্জুন। তারপর থেকেই ব্যারাকপুরে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের সমানে টক্কর চলে। শিল্পাঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠে যায়। দুই দলের মধ্যে মারামারি, বোমাবাজি, এমনকি খুনোখুনির মতো ঘটনাও ঘটতে থাকে সমানে। তৃণমূল কিছুতেই বাগে আনতে পারছিল না অর্জুনকে।
সম্প্রতি পাটশিল্পের সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে বিজেপি সাংসদের। তিনি কড়া ভাষায় তোপ দাগেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে। দফায় দফায় অর্জুনের সঙ্গে বৈঠকের পর ওই সমস্যার সমাধান হলে অর্জুন রাজ্য বিজেপির সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই থাকেন। গত কদিন ধরেই অর্জুনের কথাবার্তায় তাঁর বিজেপিতে যোগ নিয়ে জল্পনা বেড়েই চলছিল। অবশেষে রবিবার তিনি ফের তৃণমূলে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ, নবান্নে লোকায়ুক্ত বৈঠকে যাচ্ছেন না শুভেন্দু
বিজেপির আশঙ্কা, আগামিদিনে দলে আরও ভাঙন ধরতে পারে। দলের কাছে খবর, বেশ কয়েকজন বিধায়ক তলে তলে তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন। এমনিতেই রাজ্য বিজেপি চূড়ান্ত অন্তর্কলহে লিপ্ত। তার মধ্যে একের পর এক নেতাদের দলবদলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় রাজ্যে সংগঠনের কী হাল, তা বুঝতে চান কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই কারণেই অর্জুন দল ছাড়তেই জরুরি বৈঠকে বসেছে বিজেপি।