কলকাতা : গণধর্ষণ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের থেকে সাময়িক স্বস্তি পেলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তিনি ছাড়াও এই মামলায় নাম জড়িয়েছিল আরও দুই বিজেপি নেতা জিষ্ণু বসু ও প্রদীপ জোশির। তাঁদের ৩ জনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর হয়েছে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর বিজেপির রাজ্য কমিটির এক সদস্যর উপর যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, বিজেপি নেতা জিষ্ণু বসু ও প্রদীপ জোশির বিরুদ্ধে। ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৪১৭,৩৭৬ডি, ৪০৬ ধারায় চার্জশিট দেয় পুলিশ। কিন্তু দেরিতে অভিযোগ দায়ের হওয়ায় ২০২১ সালের ১ অক্টোবর এই অভিযোগটিকে এফআইআর হিসাবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন নিম্ন আদালতের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। তিনি দ্রুত মামলার নিস্পত্তি করে অভিযোগটিকে এফআইআর হিসাবে গ্রহণ করে তদন্ততের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন : তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য ফর্মে পৃথক কলম রাখতে হবে, কলকাতা পুলিশকে নির্দেশ হাইকোর্টের
এরপর নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযোগকারিণী। বিচারপতি বিবেক চৌধুরী নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, ভবানীপুর থানার অভিযোগটিকে এফআইআর হিসাবে গণ্য করতে হবে। আদালতের এই রায়ের ফলে গ্রেফতারি এড়াতে তড়িঘড়ি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজয়বর্গী। কলকাতা হাইকোর্টের কাছে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, জিষ্ণু বসু ও প্রদীপ জোশি আগাম জামিনের আবেদন জানান। নবমীর দিন, বৃহস্পতিবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি কৌশিক চন্দর ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি গ্রহণ করা হয়। দুর্গা পুজোর নবমীর দিনেই বিশেষ বেঞ্চ বসায় হাইকোর্ট। এমত অবস্থায় ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের প্রয়োজন আছে বলে জানানো হয়। তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে। এমত অবস্হায় আবেদনকারীর রক্ষাকবচের দরকার। কৈলাস সহ ৩ বিজেপি নেতার। গ্রেফতারি এড়াতে আগাম জামিনেই জন্য অবিভেদন করে ছিলেন। এরপর তাঁদের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর হয় ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
দমদমের পুজো মণ্ডপ জুতো দিয়ে সাজানো নিয়ে মামলার শুনানির সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। মামলাকারী সান্তনু সিংহ। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি কৌশিক চন্দর ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে। পুজোর মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা এই প্রথম নয়। এর আগে ১৯৯৫ সালে শিবালিক আপ্যার্টমেন্ট যখন কলকাতার বুকে ভেঙে পরে, তখন এই অ্যাপ্যার্টমেন্টের প্রমোটর গ্রেফতার হন। সেই ঘটনায় জামিনের আবেদন হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। যার শুনানি হয়েছিল অষ্টমীর দিন। বিচারপতি ছিলেন ভগবতী প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়।