কলকাতা: এ’বছর মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছেন ৭৯ জন। একসঙ্গে এতজন প্রথম এর আগে কখনও হয়নি। সাময়িকভাবে শিক্ষার্থীরা খুশি হলেও কিছু প্রশ্ন থাকছেই। যেমন পাশ করেছে এ রকম ছাত্রছাত্রীরা প্রত্যেকেই যদি একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে চান, সে ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে। কেননা ১০ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর জন্য উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা ৭ হাজার।
আরও পড়ুন: মহেশতলার কারখানায় আগুন নেভাতে ফোম, আনা হচ্ছে রোবট
এ দিন সকল পরীক্ষার্থীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে লেখেন, ‘প্রত্যেকের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য অনেক শুভকামনা রইল, জীবনে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাও সকলে।’ এ বছর করোনার জন্য পরীক্ষা হয়নি। কিন্তু একশ শতাংশ ছাত্রছাত্রী পাশ করায় প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষকমহলের একাংশে।
বিনোদিনী গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দীপান্বিতা মুখার্জি জানিয়েছেন, এইভাবে ফল প্রকাশ করায় ক্ষতির মুখে পড়বে শিক্ষাব্যবস্থা। তাঁর স্কুলে সবাই প্রথম বিভাগে পাশ করেছে। সর্বনিম্ন নম্বর উঠেছে শতকরা ৭৫ শতাংশ। তিনি জানিয়েছেন, সেই হিসেবে দেখতে গেলে যারা অঙ্কে শূন্য পায় তাঁরাও এবার ৫০ পেয়েছে। তাঁর দাবি, সব থেকে বড় সমস্যা হবে শিক্ষকদের। মাধ্যমিক পাশের পর ভাল ফল হলে সবাই সায়েন্স, কমার্স নিতে ঝোঁকে। সেক্ষেত্রে কে সত্যিই যোগ্য তা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকবে শিক্ষকদের মধ্যে। পাশাপাশি রাজ্যে ১০ হাজার মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে আর ৭ হাজার উচ্চমাধ্যমিক স্কুল। ২০২১ সালে পাশ করেছে ১০ লক্ষ ছাত্রছাত্রী। এত পড়ুয়াদের ভর্তি কীভাবে হবে সেটাও বড় প্রশ্ন। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার এইভাবে ফলপ্রকাশ নিয়ে ক্ষুব্ধ। তাঁর মতে, ৯০ শতাংশ পরীক্ষার্থী প্রথম বিভাগে পাশ করেছে। এতজন প্রথম! পুরো রেজাল্টই তাঁর মতে ভুলে ভরা। ভালো ফলের আনন্দ উপভোগ করতে পারবে না পড়ুয়ারা। সাময়িক খুশি হলেও যতদিন যাবে তাঁরা পরিস্থিতির শিকার হবে।’ বেথুনের শিক্ষিকা শ্বাশতী অধিকারী জানিয়েছেন, ‘এই পরিস্থিতিতে মাধ্যমিকের রেজাল্ট যে বেরিয়েছে সেটাই অনেক।’