কলকাতা: ভবানীপুরের গুজরাটি ব্যবসায়ী অশোক শাহের স্ত্রীকে মাথার পিছনে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়। গুলি করা হয় সেভেন এম এম পিস্তল দিয়ে। সেই গুলি কান দিয়ে বেরিয়ে যায়। অশোক শাহকে পেটে ও গলায় ছুরি চালিয়ে খুন করা হয়। কিন্তু তার স্ত্রীকে যেভাবে খুন করা হয়েছে তাতে লালবাজারের গোয়েন্দাদের অনুমান, এর পিছনে রয়েছে সুপারি কিলারদের হাত। কারণ, সোমবার ভরদুপুরে ভবানীপুরের মতো জায়গায় এইভাবে গুলি করা, ভাড়াটে খুনি ছাড়া সম্ভব নয়। একাধিক বিষয় ঘিরে প্রশ্ন উঠছে। তাহলে কি আততায়ীরা ওই ব্যবসায়ী পরিবারের পূর্ব পরিচিত ছিল? সম্পত্তিগত কারণে তাদের কি এইভাবে ভর দুপুরে খুন করানো হল? সবটাই খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
খুনের ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুর একটা থেকে ১.৩০ মিনিটের মধ্যে। ঘরের ভেতর থেকে পাওয়া গিয়েছে খাবারের প্লেট এবং জলের গ্লাস। তাই দেখে গোয়েন্দাদের অনুমান, আততায়ীরা এই ব্যবসায়ী পরিবারের পূর্ব পরিচিত ছিল। কারণ তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করে রেখেছিল ব্যবসায়ী পরিবার।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ঘরের মধ্যে দুটি আলমারি ছিল। একটি কাঠের। অন্যটি স্টিলের। কাঠের আলমারি ভেঙ্গে দুষ্কৃতীরা সোনার বালা, আংটি, ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং দুটি মোবাইল নিয়ে যায়। স্টিলের আলমারি ভাঙ্গার চেষ্টা করে আততায়ীরা। কিন্তু সেটি ভাঙতে পারেনি। নিজের বাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া চালাচ্ছিলেন অশোক শাহ। তার জন্য অগ্রিম বাবদ তিনি পেয়েছিলেন এক লক্ষ টাকা। সপ্তাহ খানেক আগে এই টাকা পেয়েছিলেন তিনি। তাহলে কি সম্পত্তি বিক্রির কথা জানত আততায়ীরা? তাই খুনের জন্য তাদের কাজে লাগিয়েছিল ব্যবসায়ী পরিবারের ঘনিষ্ঠ কোন লোকজন বা আত্মীয়রা? উত্তর পেতে একাধিক লোকজনকে জেরা করছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন GDP India: মুডিজের পর এবার বিশ্বব্যাঙ্ক, ভারতের আর্থিক উন্নয়নের হার ছেঁটে ফেলে নতুন করে পূর্বাভাস