কলকাতা: আবাসনে চলছিল হেলথ ক্যাম্প। উৎসাহী অনেকেই শারীরিক পরীক্ষা করছিলেন। ছিল কিছু রুটিন রক্ত পরীক্ষা।
আরও পড়ুন- রাতের শহরে নিগৃহীতা পানশালার গায়িকা, ধৃত ম্যানেজার
যখন রিপোর্ট এল চক্ষু চড়কগাছ সোনার পুরের বাসিন্দা মিরাজ বনসালের। কারণ রিপোর্টে লেখা লিম্ফোসাইটোসিস বা ক্যান্সার! মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে বনশল পরিবারের। আতঙ্কে দিন কাটাতে শুরু করেন কি করে চিকিৎসা করবেন। তার জন্য বাড়ি বিক্রির কথাও ভাবতে শুরু করেন তারা।
আরও পড়ুন- মেয়াদ শেষ রক্ষাকবচের, গ্রেফতার হতে পারেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ
পরে পার্ক স্ট্রিটের একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একই পরীক্ষা করেন। তাতে রিপোর্ট একই হলেও কোন ক্যান্সার বলে কমেন্ট নেই। এবার এক চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন বনশল পরিবার সেই চিকিৎসক ভুলটা ধরতে পারেন। জানিয়ে দেন ক্যান্সার হয়নি। তারপরই অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক এর বিরুদ্ধে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন মিরাজ বানসাল।
আরও পড়ুন- কলকাতার কেউ আফগানিস্তানে আটকে নেই, নবান্নকে জানিয়ে দিল লালবাজার
বুধবার তার শুনানি শেষে কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় রায় দিয়েছেন। যেখানে বলা হয়েছে যে ক্ষমা চাইতে হবে অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিককে। শুধু তাই নয় ফেরত দিতে হবে যাবতীয় পরীক্ষার খরচ। কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক স্বীকার করেছে এটা তাদের প্রিন্টিং মিসটেক। কিন্তু এত বড় প্রিন্টিং মিস্টেক হয় কি করে যাতে মানুষ মেন্টাল ট্রমায় ভুগতে পারেন।