কলকাতা: সব জল্পনা কল্পনার অবসান। সিবিআই দফতরে নয়, এসএসকেএম হাসপাতালে গেলেন অনুব্রত। সূত্রের খবর, তিনি উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হতে পারেন চিকিৎসার জন্য। অথচ সকাল থেকেই বুধবার সিবিআই দফতরে ব্যাপক পুলিসি নিরাপত্তার ব্য়বস্থা করা হয়। মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীও। সিবিআইয়ের পদস্থ আধাকারিকরাও হাজির ছিলেন নিজাম প্যালেসে। এদিন আইনজীবী সঞ্জীব কুমার দাঁ আসেন অনুব্রত মণ্ডলের ফ্ল্যাটে। বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা হয় তাঁদের দুজনের মধ্যে। বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে বেরোয় অনুব্রতর গাড়ি। কলকাতা টিভি ডিজিটালই প্রথম খবর করে যে, অনুব্রত এসএসকেএম হাসপাতালে যাচ্ছেন।
বুধবার পঞ্চমবারের জন্য অনুব্রতকে সিবিআই দফতরে তলব করা হয়েছিল। ২০২১ সাল থেকে এর আগে তাঁকে চারবার তলব করে সিবিআই। কিন্তু কখনও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে, আবার কখনও দলীয় কাজে ব্যস্ততার অজুহাতে তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান। গ্রেফতারির আশঙ্কায় তিনি হাইকোর্টের কাছে রক্ষাকবচও চান। প্রথমে আদালত তাঁকে সেই রক্ষাকবচ দেয়। পরে হাইকোর্টের একক বেঞ্চ রক্ষাকবচ তুলে নেয়। অনুব্রত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন। ডিভিশন বেঞ্চও আবেদন খারিজ করে দেয়। তারপরই সিবিআই গত ২ মার্চ নোটিস পাঠিয়ে অনুব্রতকে বুধবার হাজিরার নির্দেশ দেয়।
মঙ্গলবার রাতেই অনুব্রত বোলপুর থেকে কলকাতার চিনার পার্কে তাঁর ফ্ল্যাটে চলে আসেন। তখন থেকেই নানা মহলে জল্পনা চলে, তাহলে কি অবশেষে তৃণমূল নেতা সিবিআই দফতরে হাজিরা দেবেন? সকাল থেকেই নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে ছিল সাজ সাজ রব। বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ চিনার পার্ক থেকে তাঁর গাড়ি বেরিয়ে যায়। কোথায় যাচ্ছেন, তা নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। অবশেষে তাঁর গাড়ি সাড়ে ১১টা নাগাদ পৌঁছয় এসএসকেএম হাসপাতালে। তিনি গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই উডবার্ন ওয়ার্ডে ঢুকে পড়েন। তাঁর শারীরিক অবস্থা কেমন, জানতে চাওয়া হলে একটি কথাও বলেননি অনুব্রত।
আরও পড়ুন: Panagarh: জলের বোতলে শ্যাওলা, খেয়ে অসুস্থ বহু পানাগড়ে
সূত্রের খবর, তাঁর বুকে অস্বস্তি রয়েছে। উডবার্ন ওয়ার্ডের আরএমও প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তাঁর জন্য মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করা হতে পারে।