কলকাতা: এবার রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (Election Commission) অভিযোগ করল বিজেপি (BJP)। দিঘা থেকে রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত দুই জঙ্গিকে গ্রেফতারির সূত্রে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য শুক্রবার এক্স হ্যান্ডলে কিছু মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এই ঘটনায় প্রমাণ হল বাংলা জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্য পুলিশ তাদের এক্স হ্যান্ডলে নাম করেই অমিত মালব্যের বক্তব্যের নিন্দা করে। এতেই ক্ষুব্ধ বিজেপি রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছে কমিশনে।
এনআইএ রাজ্য পুলিশের সহযোগিতায় রামেশ্বরম বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্ত দুই জঙ্গিকে পাকড়াও করার পর থেকেই তাকে ঘিরে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে এক্স হ্যান্ডলে বাকযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা কেউ টুইট করে কেউ সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, রাজ্য পুলিশ এই ঘটনায় সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা আবার দিঘার সূত্র ধরে প্রশ্ন তোলেন, এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে এধরনের জঙ্গিদের দিঘা, কাঁথির কোন পরিবার প্রশ্রয় দেয়। নাম না করলেও ইঙ্গিত তাঁর যে শুভেন্দু অধিকারীর পরিবারের দিকে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। শুভেন্দু অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি। বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা পাল্টা দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গ যে জঙ্গিদের নিরাপদ ঘাঁটি হয়ে উঠেছে তা এই ঘটনায় আরেকবার প্রমাণিত হল।
আরও পড়ুন: ভোটে লিড দিতে না পারলে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে, হুঁশিয়ারি বিপ্লবের
এদিন সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের কৃতিত্ব নেওয়ার কিছু নেই। এই ধরনের জঙ্গি দমন অভিযানে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি সবসময়ই সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের সহযোগিতা নিয়ে থাকে। রাজ্য পুলিশ যে সহযোগিতা করেছে তার জন্য তাদের আমরা দলের তরফে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এনআইএ ও তাদের লিখিত বিবৃতিতে রাজ্য পুলিশের প্রশংসা করেছে। জগন্নাথের দাবি, এই ঘটনার তদন্ত আরও এগোলে অনেক বড় তথ্য সামনে আসবে। তিনি বলেন, কলকাতার কোন হ্যান্ডলারের কাছে এই দুই জঙ্গি আশ্রয় নিয়েছিল সাহস থাকলে রাজ্য সরকার তা প্রকাশ্যে বলুক। প্রসঙ্গত, এদিন কোচবিহারে এক নির্বাচনী সভাতেও মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ওই দুই জঙ্গি লুকিয়ে ছিল এখানে। আমাদের পুলিশ দুঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেফতার করেছে। যদিও বিজেপি নেতা জগন্নাথ তা মানতে নারাজ। তিনি বলেন, এনআইএ সহ আওরও বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা এই দুই জঙ্গিকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল। তারাই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দিঘার হোটেলে অভিযান চালায়। রাজ্য পুলিশের সঙ্গেও তারা কথা বলেছিল। ওই হোটেলে অভিযান চালানোর সময় রাজ্য পুলিশ উপস্থিত ছিল। তা নিয়ে রাজ্যের কৃতিত্ব নেওয়ার কোনও দরকার ছিল না।
আরও খবর দেখুন