কলকাতা: বুধবার আচমকাই লালবাজার, মহাকরণ সহ শহরজুড়ে কলকাতা পুলিশের সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা রহস্যজনকভাবে বিকল হয়ে যায়। এদিন সকাল থেকে মাঝ রাত পর্যন্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বিকল থাকায় পুলিশের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। লালবাজার, মহাকরণ, রিজার্ভ ব্যাংক সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবনের বাইরের প্রায় ১৩০০ সিসিটিভি ক্যামেরার একটা সংখ্যা খারাপ হয়ে থাকে।
শহরের সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরার মনিটরিং হয় লালবাজারের ওসি কন্ট্রোল এবং ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে। সিসিটিভি খারাপ হয়ে যাওয়ায় মনিটরিং সিস্টেম অকেজো হয়ে পড়ে। একসঙ্গে এতগুলো সিসিটিভি খারাপ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাহলে কি কলকাতা পুলিশের সিসিটিভিতে সাইবার হানা হল? আফগানিস্থানে তালিবানি দখলের পর প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি শহরে ভাইরাস হানা? নাকি যান্ত্রিক ত্রুটি? তাই যদি হয় তাহলে একসঙ্গে এতগুলো সিসিটিভি খারাপ হয়ে যায় কীভাবে? যদিও ভাইরাস হানার আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন লালবাজারের কর্তারা। তারা জানিয়েছেন, অ্যান্টিভাইরাস সিস্টেম আপডেট করার জন্যই সিসিটিভি গুলো কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। রাতের মধ্যেই সব চালু হয়ে যাবে। তবে ফুটেজ স্টোর করার কাজ স্বাভাবিক ভাবেই চলছে। শুধুমাত্র মনিটরিংয়ের কাজ বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন-বিয়ের জন্য ঘরে ঘরে গিয়ে মেয়েদের খুঁজছে তালিবান, ভয়াবহতার বর্ণনা মার্কিন সাংবাদিকের
এদিন সকাল দশটা থেকে শহরজুড়ে কলকাতা পুলিশের সিসিটিভি ক্যামেরা অকেজো হয়ে যায়। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র ট্রাফিক বিভাগের প্রায় দেড় হাজার সিসিটিভি রাত পর্যন্ত অকেজো হয়ে পড়ে থাকে। সমস্যা মেটাতে ট্রাফিক কর্মীরা রাস্তায় নেমে কাজ করতে শুরু করেন। এখন প্রশ্ন হলো, এর মধ্যে শহরের কোথাও কোনও অপরাধ হয়ে থাকলে তার ফুটেজ সিসিটিভিতে ধরা পড়বে তো? লালবাজারে কর্তারা জানিয়েছেন, আশঙ্কার কোনও কারণ নেই ক্যামেরা গুলি ফুটেজ সংরক্ষণ করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সিসিটিভি ঠিক করার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন লালবাজারের কর্তারা। কাজ চলছে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে। একসঙ্গে এতগুলো সিসিটিভি খারাপ হয়ে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে লালবাজারের অন্দরেও। সাইবার থানার গোয়েন্দারাই আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রশ্ন তুলেছেন, তবে কি এর পিছনে কোন গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে? সিসিটিভি মেরামতির কাজের পাশাপাশি কেন এই ঘটনা ঘটলো তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।