কাবুল: ক্ষমতায় আসার আগেই তালিবান নারীদের স্বাধীনতা বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে না বলে আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্ত বাস্তবের দৃশ্য সম্পূর্ণই আলাদা বলে দাবি করলেন আফগানিস্তান থেকে পলাতক মার্কিন সাংবাদিক হোলি ম্যাকে। কাবুল দখলের পর আফগানিস্তানের প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে ১৫ উর্ধ্ব মেয়েদের খোঁজে তল্লাসি চালাচ্ছে তালিবান। বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত কিশোরী আর মহিলা তুলে এনে বিয়ে করাই তাঁদের উদ্দেশ্য। যার জেরে রীতিমতো আতঙ্কের ছাপ আফগান নারীদের চোখে মুখে। আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফে কাজে নিযুক্ত ছিলেন হোলি ম্যাকে। তালিবানি অধিগ্রহণের পর সম্প্রতি মাজার-ই-শরিফ ছেড়ে আমেরিকায় ফিরেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: কাবুল বিমানবন্দর ঘিরে একাধিক ঘটনায় দশ দিনে ২৫ জনের মৃত্যু
আমেরিকার ‘ডেলাস মর্নিং’ সংবাদপত্রে এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন লিখেছেন হোলি। সেই প্রতিবেদনে আফগান মেয়েদের প্রতি এই ভয়াবহতার বিষয়টিকে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, গত দুদশকে নারী স্বাধীনতা নিয়ে ইতিবাচক পথে এগিয়েছিল সে দেশের মেয়েরা। জনৈকা ফারিয়া ইসারের কথা উঠে আসে তাঁর লেখনীতে। আফগান নারীদের স্বাধীনতা ও মুক্তচেতনা’র জন্য আওয়াজ তুলেছিলেন ফারিহা। সেই আওয়াজে তার পাশেই দাঁড়িয়েছিলো অসংখ্য নারী। আফগানিস্তানের রুক্ষ জমিতে ফুল ফোটার মতোই সুন্দর ছিল সেই মুক্ত চেতনার আওয়াজ। তার ডাকে সাড়া দিয়ে বহু কিশোরী দুচোখ ভরে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিত্ব ছেড়ে জার্মানিতে পিৎজা ডেলিভারি করছেন প্রাক্তন এই আফগান মন্ত্রী
তালিবান আগ্রাসনের পর আফগান মেয়েদের সেই সমস্ত স্বপ্নই ভেঙে চুরমার হয়ে। অনিচ্ছা সত্বেও বলপূর্বক বিয়ে, গণধর্ষণ এখন আফগান মেয়েদের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন বিষয় উঠে এসেছে হোলির লেখনীতে।
পরিবর্তনের আশ্বাস দিলেও তালিবান যে তাঁর মানসিকতায় বিন্দুমাত্র পরিবর্তন করেনি বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন ওই সাংবাদিক। আগামী দিনে ফারিহাদের মতো অসংখ্য নির্যাতিতারা মুক্তির পথ খুঁজে পাবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান সাংবাদিক।