শুধু স্মার্টফোন বা ল্যাপটপই নয়, এবার হ্যাক হচ্ছে স্মার্টওয়াচও। দামি অ্যাপল স্মার্টওয়াচেও হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি রয়েছে। স্মার্টওয়াচে ফিটনেস, ফোন কল এবং মেসেজের মতো তথ্যের অ্যাক্সেস রয়েছে। তাই এটিকে নিরাপদ রাখা খুবই জরুরি। ব্লুটুথ স্মার্টওয়াচে ব্লুটুথ লো এনার্জি (BLE) নামে একটি প্রযুক্তির মাধ্যমে স্মার্টফোনের সঙ্গে কানেক্ট হয়। এই প্রযুক্তিটি ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে। ব্লুটুথ লো এনার্জির মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল, এটি নিয়মিত তুলনায় কম শক্তি ব্যবহার করে। ফলে হ্যাক হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। স্মার্টওয়াচের চার্জ আগের তুলনায় কম থাকলে সতর্ক হয়ে যান। স্মার্টওয়াচগুলি অ্যাপ কেন্দ্রিক। বিভিন্ন কন্ট্রোলার অ্যাপ দ্বারা কাজ করে। ফলে হ্যাকাররা অ্যাপগুলিকে হ্যাক করে সমস্ত কন্ট্রোল তাদের হাতে নিয়ে নেয়।
আরো পড়ুন: আপনার সম্পর্কে সব তথ্য জানে এআই, দাবি ইসরোর চেয়ারম্যানের
যে কোনও স্মার্টওয়াচ কেনার আগে আপনার উচিত সেই সংস্থা সম্পর্কে জানা। অজানা সংস্থার স্মার্টওয়াচ না কেনাই ভাল। এতে আপনার স্মার্টওয়াচ হ্যাক হতে পারে কারণ এতে তেমন কোনও সিকিওরিটি ফিচার থাকে না। অজানা ওয়েবসাইট থেকে ভুল করেও অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না। যদি আপনার স্মার্টওয়াচে ওয়াইফাইয়ের ফিচার থাকে, তাহলে কখনও ঘড়িটিকে পাবলিক ওয়াইফাইয়ের সঙ্গে কানেক্ট করবেন না। ঘড়িটিকে ঠিকভাবে চালানোর জন্য ফোনে যে অ্যাপটিকে ডাউনলোড করে রেখেছেন, সেটিকে সময়ে সময়ে আপডেট করুন। নাহলে স্মার্টওয়াচ হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে অবসসই সাইবার ক্রাইম পুলিশের সাথে যোগাযোগ করুন।
আরো অন্য খবর দেখুন
