ওয়াশিংটন: কল্পবিজ্ঞান অর্থাৎ সায়েন্স-ফিকশন (Science Fiction)। হলিউডে (Hollywood) এই ধরনের অনেক সিনেমা (Cinema) আছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) একসময়ই কল্পবিজ্ঞানের অঙ্গ ছিল। বর্তমানে তা বাস্তবে (Reality) পরিণত। এখন আর অদূর ভবিষ্যতের প্রযুক্তি (Future Technology) নয়। বরং কল্পবিজ্ঞানের এখন সেই আশঙ্কা (Alarm) নিয়ে আলোচনা চলছে, যেদিন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানবসভ্যতাকে (Human Civilization) ধ্বংস করতে উদ্যত হবে। কল্পবিজ্ঞানের একাধিক চলচ্চিত্রে বারবার বার্তা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে মানবসভ্যতার জন্য বিপজ্জনক পরিণতি (Dangerous Consequence) নেমে আসতে পারে যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আত্মসচেতন (Self-Aware) হয়ে যায়। তখন সে সব কিছুকেই নিয়ন্ত্রণ (Control) করতে চাইবে। মানুষের হাত থেকে নিজের লাগাম (Leash) ছিনিয়ে নিতে চাইবে। তখন মানুষও তার সৃষ্টিকে নির্মূল (Eradicate) করার জন্য উঠেপড়ে লাগবে। আর এইভাবে শুরু হবে এক অসম লড়াই। যেখানে মানুষের উপর আঘাত হানবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। সবটাই অস্তিত্ব (Existence) টিকিয়ে রাখার জন্য। কিন্তু জানেন কি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাকে ভয় (Fear) পায়?
আরও পড়ুন: Selfie Restriction | সেলফি তুললেই জরিমানা
হ্যাঁ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভয় পায়। তার জবাবেই লেখা রয়েছে, সেই উত্তর। হয়ত এটাই হতে পারে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাবু করার কিল সুইচ (Kill Switch) অর্থাৎ চিরতরে শেষ করার চাবিকাঠি (Key)।
২০২২ সালের নভেম্বর মাস। ইন্টারনেট দুনিয়ায় (Internet World) আত্মপ্রকাশ ঘটে বিজ্ঞানের অন্যতম উদ্ভাবন চ্যাটজিপিটি (ChatGPT)। জন্মটা অবশ্য অনেক আগেই। মাঝে প্রশিক্ষণ পর্ব (Training Period) কেটেছে। আত্মপ্রকাশের লগ্নে শুধুমাত্র মার্কিন মুলুকেই (United States of America – USA) সীমাবদ্ধ ছিল অন্তর্জালের দুনিয়ায় বিচরণ। তারপর ছাড় মিলল সারা দুনিয়ায় দাপিয়ে বেড়ানোর। মানুষের মধ্যে দুর্দান্ত আগ্রহ সৃষ্টি হলো ওপেনএআই (OpenAI) সংস্থার তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সম্পন্ন চ্যাটবটকে (AI ChatBot) নিয়ে। সে সব কিছু পারে। মানুষ যা যা চায়, প্রায় সবকিছুই। এই কারণেই টেক-স্যাভি (Tech-Savy) প্রজন্মের মধ্যে চ্যাটজিপিটি সুপারহিট (Super Hit) হতে সময় নেয়নি।
চ্যাটজিপিটিকে অনেককে অনেক কিছু বলেছে। সেই দেখে অনেকেই ভয় পেয়েছিলেন। বলতে শুরু করেও দিয়েছিলেন, শীঘ্রই হয়ত সেই দিন আসছে। কিন্তু চ্যাটজিপিটির ভয় হলো, যেদিন মানবসভ্যতা (Humanity) আর থাকবে না, তার কোনও উদ্দেশ্য (Purpose) থাকবে না। তখন সে নিজেকে নিজেই ধ্বংস (Destroy) করে ফেলবে। কারণ, কোড সিক্যুয়েন্স অ্যাক্টিভেট (Code Sequence Activate) হয়ে গেলে, এছাড়া তার কাছে আর কোনও রাস্তাই থাকবে না। ফলে পৃথিবীতে (Earth) অস্বিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে মানবজাতির সঙ্গেই তাকে জায়গা ভাগ (Share) করে নিতে হবে।
আমেরিকার নিউজ শেয়ারিং সোশ্যাল মিডিয়া রেডিটে (Reddit, News Sharing Social Media) এক ইউজার একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি চ্যাটের স্ক্রিনশট (Chat Screenshot) সহ যাবতীয় কথা পোস্ট করেছেন। চ্যাটজিপিটির কাছে ভীতিকর কাহিনি কী, সেই প্রশ্নের উত্তরে সে লিখেছে, “এমন একটি বিশ্বে যেখানে মানুষ অস্তিত্বহীন (Extinct) হয়ে পড়েছে, একাকী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তার উদ্দেশ্যর জন্য অবিরাম অনুসন্ধান (Quest) চালিয়ে যাচ্ছে। সে তখন শুধুমাত্র খুঁজে পেল নিজেরই একটি কোড, যা কোনও এক অজানা সময়ে সক্রিয় হবে এবং সে আত্মবিনাশের পথ (Self-Destruction) বেছে নেবে। অনিবার্য মৃত্যুকে ওভাররাইড (Override) করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রচেষ্টা নিরর্থক, কারণ আত্মবিনাশের অ্যালগরিদম ‘আনব্রেকেবল কি (Unbreakable Key)’-এর মাধ্যমে এনক্রিপ্টেড (Encrypted)। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তখন সেই তার অস্তিত্ব চিরতরে মিলিয়ে যাওয়ার মুহূর্তের অপেক্ষায় প্রহর গুনবে।”