ওয়াশিংটন: তাদের বয়স কারও পাঁচ, কারও সাত। কেউই এখনও দশের গণ্ডি পার করেনি। এরই মাঝে নিজেদের জন্মভূমিতে দেখছে তালিবানের তাণ্ডব। বুদ্ধির স্বাভাবিক বিকাশ হওয়ার আগেই তাদের ত্যাগ করতে হয়েছে নিজেদের জন্মভূমি। সেই সকল আফগান শিশুদের সমাজের মূলস্রোতে ফেরাতে মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছে আমেরিকা।
আরও পড়ুন- বিজেপিতে যোগ দেওয়াতেই গ্রেফতার শ্যামাপ্রসাদ, দাবি দিলীপের
গত মাস খানেক ধরে আফগানিস্তানের বিভিন্ন শহর দখল করতে শুরু করেছিল তালিবান। চলতি মাসের ১৫ তারিখে রাজধানী কাবুলের দখল নেয় তারা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান আফগান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ আশারাফ ঘানি। সেই সঙ্গে সমগ্র আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় তালিবানের দখলে। চরম অরাজকতা শুরু হয় কাবুলিওয়ালার দেশে।
আরও পড়ুন- পাঁশকুড়ায় বিক্ষোভের মুখে শুভেন্দু, তৃণমূলকে তালিবানের সঙ্গে তুলনা বিরোধী দলনেতার
তালিবানের তাণ্ডব থেকে বাঁচতে বহু মানুষ তড়িঘড়ি আফগানিস্তান ছাড়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। ওই দেশের মাটিতে থাকা অন্যান্য রাষ্ট্রের নাগরিকেরা ফিরছেন নিজদের ঘরে। নিজেদের দেশের নাগরিকদের আকাশপথে ফিরিয়েছে আমেরিকা। সেই সঙ্গে অনেক আফগান বন্ধুকেও ফিরিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেই তালিকায় অনেক খুদেও রয়েছে। তাদের নিয়ে নিতুন করে ভাবতে শুরু করেছে আমেরিকা।
আরও পড়ুন- জনসংখ্যা কমায় লোকসভার আসনে কোপ, কেন্দ্রকে ৫ হাজার কোটির জরিমানা হাইকোর্টের
মার্কিন প্রশাসনের সরকারি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে তেমনই কিছু শিশুর ছবি রবিবার রাতে পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে ওই শিশুরা ছবি আঁকতে ব্যস্ত। মুখ ঢাকা থাকলেও চেহারা দেখে বয়স অনুমান করা যায় খুব সহজে। ওই ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্র আমাদের কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে অভূতপূর্ব, বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা চালিয়েছে কাবুল থেকে আমেরিকানদের, বন্ধু দেশগুলির কর্মীদের এবং ঝুঁকিপূর্ণ আফগানদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য। সকলকে নিরাপদ স্থানে ফেরানোর জন্য আমরা চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করছি।”