আফগানিস্তানে আটকে পড়া মার্কিন ও আফগান নাগরিকদের উদ্ধারে আরও এক হাজার সেনা পাঠাচ্ছে আমেরিকা। সোমবার এমনটাই জানানো হয়েছে পেন্টাগনের তরফে
পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জানান, প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন ইতিমধ্যেই আফগানিস্তান আরও অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। জন কিরবি আরো জানান আফগানিস্তান থেকে মার্কিন-আফগান নাগরিকদের উদ্ধার করার ক্ষেত্রে সেনার পাশাপাশি দুটো অতিরিক্ত বায়ু সেনা ঘাঁটি কেউ ব্যবহার করতে পারে আমেরিকা।
গতকাল রবিবারে বিদেশ সচিব এন্টনি ব্লিনকিন আফগানিস্তানে কর্মরত সমস্ত আমেরিকান কূটনীতিকদের ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেন। তারপর সেনাহেলিকপ্টার করে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। আর এই ঘটনায় ১৯৭৫ সালের ভিয়েতনামে মার্কিন বাহিনীর পরাজয়ের কথাই আবার মনে করিয়ে দেয়।
অন্যদিকে, এদিন প্রবল বিশৃঙ্খলা আর গন্ডগোলের জেরে কমপক্ষে ১০ জন আফগান নাগরিক প্রাণ হারালেন। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এদিন বিমানবন্দরে আফগানিস্থানে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের উদ্ধার করতে বিমান পাঠায় বিভিন্ন দেশ। বিদেশী দূতাবাসগুলোর থেকে তাদের কর্মীদের ফিরিয়ে নিয়ে যেত আমেরিকা ভারতসহ বিভিন্ন দেশের বিমান অবতরণ করে সে দেশে। আর সেই সময়ই দেশ ছেড়ে প্রাণে বেঁচে পালাতে উন্মত্ত আফগানরা বিমানবন্দরে প্রবেশ করে। তারপরেই যেকোনো ভাবে হোক বিমানে চেপে বসতে উদ্যত হয়। শুরু হয় হই হট্টগোল। দেখা যায় চরম বিশৃঙ্খলা।
এমন পরিস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উন্মত্ত আফগান জনতার উপর মার্কিন সেনারা গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তাতে মৃত্যু হয় দুই আফগান নাগরিকের। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়তে হয় মার্কিন প্রশাসনকে।