ওয়াশিংটন: জঙ্গী হামলা রুখতে ড্রোন হামলা চালায় আমেরিকা। কিন্তু সেই ড্রোন হামলার ফলে সন্ত্রাস দমনের বদলে মৃত্যু হয়েছিল বহু আফগান নাগরিকের। শুক্রবার মার্কিন সেন্ট্রাল কম্যান্ডের প্রধান জেনারেল কেনেথ ম্যাককেনজি জানান, কাবুল বিমানবন্দরে উদ্ধারকার্য চালানোর সময় মার্কিন সেনার উপর হামলা চালায় জঙ্গীরা। পাল্টা জবাব দেয় মার্কিন সেনা। তারা ড্রোন হামলা চালায়। কিন্তু তাদের এই ড্রোন হামলার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। যার জন্য কেনেথ ম্যাককেনজি ক্ষমা চেয়েছেন।
আফগানিস্তান যখন তালিবানদের হাতে চলে যায়, তখন আমেরিকা উদ্ধার কাজ শুরু করে। এই উদ্ধারকাজে যোগ দেয় অন্যান্য দেশও। কিন্তু উদ্ধারকাজ চলাকালীন কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অ্যাবেই গেটের কাছে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটে। একই দিনে আরও একটি বিস্ফোরণ হয় বিমানবন্দরের উল্টো দিকে অবস্থিত ব্যারন হোটেলের সামনে। এই ঘটনায় ১০৩ জনের মৃত্যু হয়, যাঁদের মধ্যে ১৩ জন মার্কিন সেনা ছিলেন। এই হামলার দায় স্বীকার করে আইএস জঙ্গী সংগঠন।
আরও পড়ুন : আফগানিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিকেশ আইসিস অপারেটিভ, দাবি আমেরিকার
এই হামলার পাল্টা জবাব দিতে গত ২৯ অগস্ট কাবুলে আমেরিকা ড্রোন হামলা চালায়। জঙ্গী দমনের উদ্দেশ্য নিয়ে এই হামলা চালানো হলেও পরে জানা যায়, এই হামলার ফলে মৃত্যু হয়েছে সাধারণ মানুষের। এই ঘটনার তদন্ত হওয়ার পর মার্কিন সেনা মেনে নেয় যে, তাদের ড্রোন হামলার ফলে ১০ জন সাধারণ মানুষ মারা গেছেন। পেন্টাগনের তরফে মার্কিন সেন্ট্রাল কম্যান্ডের প্রধান জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাককেনজি বলেন, উদ্ধারকাজ চালানোর সময় যে জঙ্গী হামলা হয়েছিল, তার পাল্টা জবাব দিতেই এই এয়ার স্ট্রাইক করে মার্কিন সেনা। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। তার জন্য তিনি মৃতদের পরিবারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। তিনি জানান, এই হামলার ঘটনায় ৭ জন শিশু সহ মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন : বন্ধ দূতাবাস, আফগানিস্তানে রমরমা ভিসার কালোবাজারি
ঘটনার দিন একটি সাদা গাড়িকে লক্ষ্য করে এয়ার স্ট্রাইক করা হয়। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় জামেরাই আহমেদ নাম এক ত্রাণকর্মীর। তাঁর সাদা গাড়িটিকে লক্ষ্য করে মিসাইল ছোড়া হয়। সেই সময় গাড়িতে জামেরাই ছাড়াও তাঁর ১১ বছরের ছেলে ছিল। কিন্তু বিস্ফোরণের জেরে তাঁদের মৃত্যু হয়। এই বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে আরও বেশ কয়েকজন শিশুও ছিল। ওই বিস্ফোরণের ফলে তাদেরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।