দুশানবে: কাবুলের দখল নেওয়ার পরে সেখানে সরকার গঠন করতে চাইছে তালিবান৷ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন তালিবানি কম্যান্ডার আনাস হাক্কানি৷ কাবুলে যখন এই বৈঠক চলছে তখন পড়শি দেশ তাজিকিস্তানের আফগান দূতাবাসে বদলে গেল প্রেসিডেন্টের ছবি৷ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসরাফ ঘানির জায়গায় ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ-র ছবি টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ বার্তাটি স্পষ্ট, বর্হিজগত আফগানিস্তানে তালিবান শাসন মানবে না৷
আরও পড়ুন: আফগানে গৃহযুদ্ধ: পতাকা হাতে রাজপথে তালিবান বিরোধী স্লোগান, চলল গুলি
১৫ অগস্ট তালিবান কাবুল দখল করার পর প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দেন আসরাফ ঘানি৷ তার পরই দেশ ছাড়েন তিনি৷ বর্তমানে ওমানে আছেন৷ অপরদিকে শান্তিপূর্ণভাবে আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলে তৎপর হয়ে ওঠে তালিবান৷ কিন্তু এর মধ্যে ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ নিজেকে কেয়ারটেকার প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে দেন৷ টুইট করে লেখেন, আফগানিস্তানের সংবিধান অনুসারে প্রেসিডেন্টের মৃত্যু, অনুপস্থিত, পদত্যাগ বা পলায়নের ক্ষেত্রে ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট কেয়ারটেকার প্রেসিডেন্ট হয়ে যান৷ আমি এখন আফগানিস্তানে আছি৷ আমি দেশের বৈধ কেয়ারটেকার প্রেসিডেন্ট৷ সব নেতার সমর্থন ও মত নেওয়ার জন্য তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি৷
Clarity: As per d constitution of Afg, in absence, escape, resignation or death of the President the FVP becomes the caretaker President. I am currently inside my country & am the legitimate care taker President. Am reaching out to all leaders to secure their support & consensus.
— Amrullah Saleh (@AmrullahSaleh2) August 17, 2021
আরও পড়ুন: তালিবানি শাসনের বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড হাতে পথে আফগান মহিলারা
ঠিক এই কারণ দেখিয়েই তাজিকিস্তানের আফগান দূতাবাস থেকে আসরাফ ঘানির ছবি সরিয়ে সেখানে রাখা হয়েছে আমরুল্লাহ সালেহ-র ছবি৷ অর্থাৎ তালিবান যতই লাফালাফি করুক, আফগানিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী আমরুল্লাহই দেশের কেয়ারটেকার প্রেসিডেন্ট৷ সেই বার্তাটি ফুটে এল এই পদক্ষেপে৷ অপরদিকে আসরাফ ঘানি, হামদাল্লাহ মোহিব এবং ফজল মহম্মদ ফাজলির বিরুদ্ধে জনগণের টাকা লুঠ করার অভিযোগ উঠেছে৷ তাদের সন্ধান পেতে ইন্টারপোলের সাহায্য চেয়েছে তাজিকিস্তানে আফগান দূতাবাস৷ যাতে ওই টাকা আফগানিস্তানে ফিরিয়ে দেওয়া যায়৷