ইসলামাবাদ: বহুদিন থেকেই অভিযোগ ছিল তালিবানদের অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে পাকিস্তান। দোহায় তালিবান নেতাদের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রতিনিধিদের হাত মেলাতেও দেখা গিয়েছে। যদিও পাক সরকার প্রকাশ্যে তালিবান ঘনিষ্ঠতার কথা কখনও স্বীকার করেনি। তালিবানরা কাবুল দখল করার পর পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গলায় তালিবানদের সমর্থনের সুর শোনা গেল।
আরও পড়ুন: আকাশসীমা বন্ধের ‘ফতোয়া’ তালিবানের, ভারতীয়দের দেশে ফেরা অনিশ্চিত
আফগানিস্তানে তালিবানি-রাজ প্রসঙ্গে ইমরান বলেছেন, ‘দাসত্বের শিকল ভেঙেছে তালিবান’। আফগানিস্তানে তালিবান-রাজকে সমর্থন জানিয়ে করা ইমরানের এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ইমরানের মন্তব্য, ‘আপনি অন্যের সংস্কৃতি দখল করেন এবং মানসিকভাবে বশীভূত হন। যখন এটি ঘটে, মনে রাখবেন, এটি প্রকৃত দাসত্বের চেয়েও খারাপ। সাংস্কৃতিক দাসত্বের শিকল ছুড়ে ফেলা কঠিন কাজ। আফগানরা দাসত্বের শিকল ভেঙে ফেলেছে।’ সোমবার ইংরাজি মাধ্যমে পড়াশোনার বিষয়ে একটি বক্তব্যে রাখতে গিয়ে ইমরান আফগানিস্তানের প্রসঙ্গ তোলেন।
এপ্রিল মাসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন৷ ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা৷ আমেরিকার ঘোষণায় শক্তিসঞ্চয় করতে শুরু করে তালিবানরা৷ এর পর গত তিন মাসে একের পর এক প্রাদেশিক রাজ্যগুলির দখল নিতে শুরু করে তারা৷ কাবুলের দখল নিতে গত এক সপ্তাহ ধরে ঝড়ের গতিতে এগোচ্ছিল জঙ্গিরা৷ রবিবার কাবুলের দখল নেয় তালিবানরা। কাবুলে হামলা হবে না, এই শর্তেই তালিবানের সঙ্গে সমঝোতা হয় আফগানিস্তান সরকারের।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানকে মুসলিম আমিরশাহি ঘোষণার হুঁশিয়ারি তালিবানদের
পাকিস্তান ছাড়াও তালিবানদের উদ্দেশ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার বার্তা দিয়েছে চীন। বেজিংয়ের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে চায়। তালিবান ইস্যুতে ভারত কী ভূমিকা নেবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। দিল্লিকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে তালিবানরা জানিয়েছে, আফগানিস্তানে সেনা পাঠালে ফল মারাত্মক হতে পারে। ভারতের সঙ্গে সুম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষপাতী তালিবানরা।