কাবুল: কাশ্মীর (Kashmir) ইস্যুতে দ্বিধাভক্ত তালিবান (Taliban)৷ কেউ বলছেন, এ ব্যাপারে তারা নাক গলাবেন না৷ আবার পরক্ষণেই উল্টো কথা শোনা যাচ্ছে তালিবান শিবিরে৷ এবার জঙ্গি সংগঠনের অন্যতম মুখপাত্র সুহেল শাহিন জোর গলায় দাবি করেন, কাশ্মীরের মুসলিমদের (Muslim) নিয়ে কথা বলার অধিকার তাদের রয়েছে৷
আরও পড়ুন: কাশ্মীরের স্বার্থে তালিবানের সঙ্গে চুক্তির পথে যাবে দিল্লি ?
এর আগে তালিবানের এক শীর্ষ নেতা আনাস হাক্কানি জানিয়েছিলেন, তাঁরা কাশ্মীরের ব্যাপারে নাক গলাবেন না৷ এবং ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলবেন৷ সিএনএন নিউজ ১৮-কে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন, ‘কাশ্মীর আমাদের আওতাধীন বিষয় নয় এবং অন্য দেশের ব্যাপারে নাক গলানো আমাদের নীতি বিরুদ্ধ৷ নীতির বিরুদ্ধে কী করে কাজ করি?’
হাক্কানির ঠিক উল্টো সুর শোনা গেল তালিবান মুখপাত্রের গলায়৷ বিবিসি উর্দুকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘মুসলিম হিসাবে আমাদের অধিকার রয়েছে কাশ্মীর এবং অন্যান্য দেশের মুসলিমদের ব্যাপারে কথা বলার৷ আমরা বলব, মুসলিমরাও তোমাদের দেশের নাগরিক৷ তাদেরও আইনের চোখে সমান অধিকার রয়েছে৷’
আরও পড়ুন: মহিলা চিকিৎসকরা জিনস পরতে পারবেন না, তালিবানি ‘ফতোয়া’ পাকিস্তানের হাসপাতালের
আফগানিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে জঙ্গিরা ভারত বিরোধী কার্যকলাপ বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা ছিলই কেন্দ্রের৷ কিছুদিন আগে দোহাতে তালিবানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে ভারতের রাষ্ট্রদূত এই আশঙ্কার কথা তুলে ধরেছিলেন৷ জানিয়েছিলেন, আফগানিস্তানের মাটিকে ভারত বিরোধী কার্যকলাপে ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না৷ ওই বৈঠকের পর তালিবান জানিয়েছিল, তারা ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক ব্যাপারে মাথা ঘামাবে না৷
কাশ্মীর ইস্যুতে তালিবান কট্টর অবস্থান নিলে সেটা ভারতের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের৷ সেক্ষেত্রে আফগানিস্তানের জমিকে ব্যবহার করে কাশ্মীরে নাশকতামূলক কাজকর্ম আরও বাড়িয়ে তুলবে জঙ্গিরা৷ তাই কাশ্মীর ইস্যুতে তালিবান কোন নীতিতে চলে সেই দিকেই তাকিয়ে দিল্লি৷