কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে তালিবান। রাজধানী কাবুল থেকে আর মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরেই দাঁড়িয়ে রয়েছে তাঁরা। শুক্রবার বিনা লড়াইয়ে আফগানিস্তানের লোগার প্রদেশ দখল করে তালিবান। পাশাপাশি দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমের গুরুত্বপূর্ণ হেরাত প্রদেশের কান্দাহারেও তালিবান ইতিমধ্যে নিজেদের অবস্থান মজবুত করেছে। এই প্রদেশটি কাবুল থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরেই অবস্থিত। এবার কাবুলই পরবর্তী গন্থব্য। সেই লক্ষ্যেই এবার রণকৌশল সাজাচ্ছে জঙ্গি গোষ্ঠীটি।
ইতিমধ্যেই, আফগানিস্তানের একশো শতাংশ এলাকাই নিজেদের দখলে নিয়েছে তালিবান। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন, আফগান সাংসদ সৈয়দ কারিবুল্লা সাদাত।
অন্যদিকে, আফগানিস্তানে কর্মরত মার্কিনিদের উদ্ধার করতে ইতিমধ্যেই কাবুলে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কাবুলে অবস্থিত দূতাবাস থেকেই তোড়জোর শুরু করেছে তাঁরা। ভারতীয়দের দেশে ফিরে আসতে নির্দেশিকা জারি করেছে নয়াদিল্লিও। সম্প্রতি হেরাত, হেলমন্দ, গজনীর মতো একের পর এক দক্ষিনী প্রদেশগুলির পতন ঘটেছে তালিবানের হাতেই। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই প্রদেশগুলি থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়ে কাবুলের সংযোগ ঘটায় । এবার সেই হাইওয়ে ধরেই কাবুলের দখলের লক্ষ্যে এগোচ্ছে তালিবান।
আরও পড়ুন: দরজায় তালিবান, আফগানিস্তান থেকে ভারতীয়দের ফেরাতে বিশেষ বিমানের তোড়জোড়
কিছুদিন আগেই কাবুলে আফগান সরকারের প্রধান মিডিয়া উপদেষ্টাকে হত্যা করে তারা। খুন করে কাবুলের একটি রেডিও স্টেশনের ম্যানেজারকেও। তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয় রাজধানী কাবুলে তালিবানের উপস্থিতি নিয়ে। সেই জল্পনাই এবার বাস্তব হবে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিকমহল।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার শান্তিস্থাপনের লক্ষ্যে তালিবানকে এই ‘ক্ষমতার বন্টনে’র প্রস্তাব দেয় আশরাফ ঘানি প্রশাসন। ই লড়াইতে ইতিমধ্যেই প্রবল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে আফগান প্রশাসনকে। গত কয়েকমাস ব্যাপী দীর্ঘ লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে বহু সাধারণ নাগরিকের। প্রাণ হারিয়েছেন কয়েক হাজার আফগান জওয়ান। যার জেরেই কার্যত কোনঠাসা কাবুল।
আরও পড়ুন: হিংসা রুখতে তালিবানকে ‘ক্ষমতা বন্টনের প্রস্তাব’ আফগান সরকারের
এমন প্রেক্ষিতে শান্তিস্থাপনের নামে একরকম আত্মরক্ষামূলক প্রস্তাব দেয় কাবুল। এমনটাই মনে করেছিল কূটনৈতিকমহল। কিন্তু সেই প্রস্তাবের কোনও প্রতুত্তর আসেনি তালিবানের তরফে। যারফলে, সেই প্রস্তাবকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে কাবুল উপকন্ঠে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে তালিবান।