ইসলামাবাদ: চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান। সরকার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে ইসলামাবাদকে। জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অনেক আগেই। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ভাড়া দেওয়া হচ্ছে বিয়েবাড়ির জন্য। এরই মাঝে প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পাকিস্তানের অর্থনীতি টিকে রয়েছে গাধার উপরে।
আরও পড়ুন- চীন-পাকিস্তান থাকলেও আফগান বিষয়ক বৈঠকে রাশিয়ার আমন্ত্রণ পেল না ভারত
গাধা প্রতিপালন এবং তা বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মূদ্রা অর্জন করছে পাকিস্তান। যা থেকে উঠে আসছে সরকার চালানোর একটা বড় খরচ। গত দুই বছর ধরে এই উপায়েই সরকার পরিচালিত হচ্ছে পড়শি ওই রাষ্ট্রে।
আরও পড়ুন- টিকা ছাড়া কোনও তরঙ্গ ঠেকানো যাবে না, জানাল গ্লোবাল অ্যাডভাইজরি কমিটি
বছর দুই আগে চীনের পক্ষ পাকিস্তানকে ৪২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়া হয়। চুক্তি হয় যে সারা বছর ধরে ওই দেশে গাধা সরবারহ করবে পাকিস্তান। পাশাপাশি পাকিস্তানের মাটিতে গাধা উৎপাদন এবং প্রতিপালনের জন্য ফার্ম চালু করে একাধিক চীনা সংস্থা। সেই সময় থেকে বিপুল পরিমাণে গাধা উৎপাদন শুরু হয়েছে পাকিস্তানের মাটিতে।
আরও পড়ুন- কোভ্যাক্সিন নিয়ে বিপাকে, আদালতের দ্বারস্থ প্রবাসী ভারতীয়রা
এই মুহূর্তে পাকিস্তান বিশ্বের ত্ররতীয় বৃহত্তম গাধা উৎপাদক দেশ। চলতি ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ৫০ লক্ষ গাধা উৎপন্ন হয়েছে ভারতে। প্রতি বছরে এই উৎপাদন বৃদ্ধির হার বেশ বাড়ছে। গাধার পাশাপাশি ভেড়া, ছাগল এবং মোষের প্রতিপালনও শুরু করেছে পাকিস্তান। এই সকল পশু প্রতিপালনের মাধ্যমেই অর্থনীতির নয়া রাস্তা খুঁজে পেয়েছে পাকিস্তান। যা অনেক আগেই ভেঙে পড়েছিল।
পশু প্রতিপালন করে সাধারণ মানুষের হাতেও আসছে টাকা। সরকারি তথ্য বলছে যে প্রতিপালকেরা দৈনিক এক হাজার টাকা করে পাচ্ছেন গেধা প্রতিপালন করার জন্য। ভেড়া, ছাগল বা মোষ প্রতিপালনের জন্য এত টাকা অবশ্য পাওয়া যায় না। তবে সেই অঙ্কও কিছু কম নয়। এক-একটি গাধা বিক্রি হয় গড়ে ৪০হাজার টাকায়। সেই দাম কখনও ৩৫ হাজারে নেমে যেতেও পারে। কখনও আবার তা ৫৫ হাজার হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- টাকার লোভে সরকারি ১০২ অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী তুলে গ্রেফতার চালক
চীনের চিকিৎসা ব্যবস্থায় গাধা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওই দেশের প্রাচীন চিকিৎসা শাস্ত্রেও গাধার ব্যবহারের উল্লেখ রয়েছে। চীনে অনেক ওষুধ তৈরি হয় গাধা ব্যবহার করে। গাধার চামড়া থেকে একপ্রকারের জিলেটিন তৈরি হয় যা থেকে চীনের প্রাচীন চিকিৎসা শাস্ত্রে ব্যবহৃত ওষুধ তৈরি হয়। গাধার চামড়াকে তাই চীনের চিকিৎসা শাস্ত্রের সম্পদ বলে মনে করা হয়। চীনারা মনে করেন যে গাধার শরীর থেকে তৈরি ওষুধ মানুষের রক্ত সঞ্চারণ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে।