ওয়াশিংটন: তালিবান দখলে যাওয়া আফগানিস্তান থেকে লক্ষাধিক মানুষকে উদ্ধার করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে আমেরিকা। সেই তালিকায় মার্কিন নাগরিক ছাড়াও অনেক আফগান রয়েছেন। অন্য রাষ্ট্রের নাগরিকেরাও রয়েছেন। এমনই দাবি করল হোয়াইট হাউস।
শুক্রবার অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে সেই তথ্য জানিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন প্রশাসনের সদর দফতর হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে শুক্রবার জানানো হয়েছে যে গত ১৪ অগস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় এক লক্ষ পাঁচ হাজার জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের কাবুল থেকে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গত ১৫ অগস্ট কাবুলের দখল নেয় তালিবান। সেই সঙ্গে প্রায় সমগ্র আফগানিস্তানের দখল চলে যায় ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর হাতে। তারপর থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ শুরু করে মার্কিন বিমান বাহিনী। ভারত বা অন্য দেশের বিমান বাহিনীও উদ্ধার কাজ জারি রেখেছে। কাবুলিওয়ালার দেশে আমেরিকার সেনা মোতায়েন থাকায় বহু মার্কিন ওই দেশে আটকে পড়েছিলেন।
য়াফগানিস্তান থেকে আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করতেই সক্রিয় হয় তালিবান। খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রায় সমগ্র আফগানিস্তানের দখল চলে যায় তাদের হাতে। অগস্টের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে বলে জানায় হোয়াইট হাউস। সেই অনুযায়ী প্রতুস্তি শুরু হয়ে যায়। এরই মাঝে তালিবানের দাপট বাড়তে থাকায় জুলাই থেকেই মার্কিন নাগরিকদের আফগানিস্তান থেকে ফিরিয়ে নিতে শুরু করে আমেরিকা।
আরও পড়ুন- খোলা নর্দমা পরিস্কার করতে গিয়ে মৃত্যু তিন শ্রমিকের, মানবাধিকার কমিশনে দায়ের অভিযোগ
হোয়াইট হাউসের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত জুলাই মাসের শেষের দিক থেকে পরবর্তী এক মাস সময়ে এক লক্ষ ১০ হাজার ৬০০ জনকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কাবুল বিমানবন্দর চত্বর। সেই সময়েই জারি ছিল মার্কিন বিমানবাহিনীর উদ্ধার কাজ। গত ২৪ ঘণ্টা সময়ে প্রায় ১২ হাজার ৫০০ জনকে কাবুল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি হোয়াইট হাউসের। মার্কিন সেনার ৩৫টি বিমানে প্রায় সাড়ে আট হাজার জনকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকিদের যৌথ বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।