জনসন অ্যান্ড জনসন (Johnson & Johnson) বেবি পাউডার (Baby powder) নিয়ে কয়েক বছর ধরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। জনসনের এই বেবি পাউডারে অ্যাসবেস্টসের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। ওই অ্যাসবেস্টস শিশু শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এর ফলে ক্যানসার (Cancer) পর্যন্তও হতে পারে বলে এমন দাবিকে কেন্দ্র করেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই সংক্রান্ত মামলাগুলি শেষ করতে এবার ৮.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিতে প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থা। এই দীর্ঘ সময়ে মামলার জেরে প্রভূত ক্ষতির মুখে জনসন কোম্পানি। তাই এবার বড় অঙ্কের টাকা দিয়ে গোটা ব্যাপারটার রফা করতে চাইছে জনসন কর্তৃপক্ষ।
নিউ জার্সির (New Jersey) এই সংস্থার বক্তব্য, দেউলিয়া আদালত যদি তাদের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় তাহলে এর মাধ্যমে কসমেটিক ট্যাল্ক সংক্রান্ত মামলাগুলির সব দাবির ন্যায়পূর্ণ সমাধান হবে। যদি শেষ পর্যন্ত তাদের দাবি অনুমোদন পায়, তাহলে তা হবে মার্কিন ইতিহাসে কোনও পণ্যের ক্ষেত্রে অন্যতম বৃহৎ অঙ্কের সমঝোতা। ওঅভিযোগ য়া উঠেছে তার ক্ষতিপূরণ দিতে কোম্পানি তৈরি। এবার ব্যাপারটার মীমাংসা করা হোক।
আরও পড়ুন: Lalbazar | Hanuman Jayanti | হনুমান জয়ন্তীতে কড়া পদক্ষেপ লালবাজারের, জারি একগুচ্ছ নির্দেশিকা
২০১৫ সালে ওভারিয়ান ক্যানস্যারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৬২ বছরের জ্যাকি ফক্স। জ্যাকির পরিবার জানান, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে জনসন অ্যান্ড জনসনের ট্যালকম পাউডার ব্যবহাক করেতেন তিনি। তাঁরা অভিযোগ করেন, জ্যাকির এই মারণ রোগের কারণ ওই পাউডারই।
১৮৯৪ সাল থেকে জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি পাউডার বিক্রি হয়ে চলেছে। পরিবারবন্ধুর প্রতীক হয়ে ওঠায় সংস্থার প্রতীকী পণ্য হয়ে উঠেছিল এটিই। কিন্তু আমেরিকার ৩৫ হাজার মহিলা জরায়ুর ক্যানসারের জন্য ওই সংস্থাকে দায়ী করে মামলা দায়ের করার পর থেকেই মার্কিন মুলুকে ক্রমেই কমতে শুরু করে পাউডারটির চাহিদা। সেই থেকে পরিস্থিতি ক্রমেই প্রতিকূল হয়েছে। আমেরিকার এক আদালত সংস্থাকে ১৫ হাজার কোটি টাকার জরিমানার সাজা দিয়েছিল। আদালতের বক্তব্য ছিল, সংস্থাটি শিশুদের পণ্য নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে। যদিও এই সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন জনসন অ্যান্ড জনসন কর্তৃপক্ষ। দাবি করেছেন, তাঁদের সব প্রোডাক্টই সুরক্ষিত।