রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শোকযাত্রার সম্মানটুকুও পেলেন না মিখাইল গর্বাচেভ৷ শনিবার ভারতীয় সময় বেলা সাড়ে বারটায় শুরু হয়ে বিকেলের আগেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা সোভিয়েত ইউনিয়েনের সর্বশেষ প্রেসিডেন্টের শেষকৃত্য৷ গ্লাসনস্ত আর পেরেস্ত্রৈকার উদ্ভাবকের শেষযাত্রায় গার্ড অফ অনারের ব্যবস্থা থাকছে৷ রুশ সরকারের তরফে শোকযাত্রার যাবতীয় আয়োজন করা হলেও ক্রেমলিনের মুখপাত্র জানিয়েছেন এই শোকযাত্রাকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রীয় শোকযাত্রার মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না৷
ঘোষণামতই শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকলেন না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন৷ সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে দেওয়ার তাঁর সিদ্ধান্তে মোটেই সহমত ছিলেন না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন৷ অনেকদিন আগেই সেজন্য প্রকাশ্যে প্রয়াত মিখাইল গর্বাচেভের সমালোচনা করেছিলেন৷ আর এহেন আবহে শনিবার গর্বাচেভের শেষকৃত্যে পুতিনের অনুপস্থিতি যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছেন রুশ রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা৷ সোভিয়েত ইউনিয়ন-এর পতনের পর পুতিন এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছিলেন, এটি হল একবিংশ শতাব্দীর সব থেকে বড় ভূ-রাজনৈতিক বিপর্যয়৷ অবশ্য শেষযাত্রায় উপস্থিত না থাকলেও বৃহস্পতিবার মস্কোর সেন্ট্রাল ক্লিনিকাল হসপিটালে পুষ্পস্তবক দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে আসেন রুশ প্রেসিডেন্ট৷ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসাবে পুতিনের পূর্বসূরী কিন্তু পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষযাত্রায় যাওয়ার সুযোগটুকু পেয়েছিলেন৷
বরিস ইয়েলতসিনের শেষযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা৷ ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন, ব্রিটেনের প্রক্তন প্রধানমন্ত্রী জন মেজর, পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট লেচ ওয়ালেচা সহ আরও অনেকে৷ সে অর্থে কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতি সত্ত্বেও যথেষ্ট অনাড়ম্বরেই সম্পন্ন হল গর্বাচেভের শেষকত্য৷ কারণ ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধের আবহে থাকছেন না অধিকাংশ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান৷ যে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও যথেষ্ট ক্ষুব্ধ ছিলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী প্রয়াত রাষ্ট্রনায়ক৷ সরাসরি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও রোগশয্যা থেকেও নিজের মিখাইল গর্বাচেভ জানিয়েছিলেন, এই পৃথিবীতে মানুষের জীবনের থেকে মুল্যবান কিছুই হতে পারে না৷