ওয়াশিংটন: তালিবানের আফগানিস্তান দখল নিয়ে চাপের মুখে মার্কিন প্রশাসন। কারণ গত ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে মোতায়েন রয়েহে মার্কিন সেনা। যাদের সম্প্রতি প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চলতি মাসের মধ্যেই সকল সেনাকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তারপরেই কাবুলিওয়ালার দেশে তালিবানের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়।
খুব স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় নানামহলে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগান পরিস্থিতির জন্য বাইডেনকে কাঠগড়ায় তোলেন। পালটা পূর্বসূরীদের দায়ী করেন বাইডেন। এই চাপানউতোরের মাঝে ক্রমশ জটিল হচ্ছে আফগান পরিস্থিতি। প্রয়োজনে সেনা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার কথাও ভাবছে আমেরিকা। তবে এই মুহূর্তে আফগানিস্তানে থাকা ব্যক্তিদের ফেরানোটাই মূল লক্ষ্য হোয়াইট হাউসের।
আফগানিস্তানে গত দুই দশক ধরে মোতায়েন করা রয়েছে মার্কিন সেনা। মার্কিনিদের জন্য নানাবিধ সংস্থা আফগানিস্তানে কাজ করছিল। সেই সকল সংস্থার কর্মীদের তালিকায় আমেরিকান ছাড়াও অন্য দেশের নাগরিকও আছে। সেই সকল ব্যক্তিদের নিজের ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই এখন মূল লক্ষ্য। এমনই জানিয়েছে বাইডেনের ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। সেই সঙ্গে মার্কিন বন্ধু আফগানদেরও নিরাপদস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে আমেরিকা। সেই কাজেই এখন মনোনিবেশ করেছে মার্কিন প্রশাসন।
আরও পড়ুন: বিশেষ মর্যাদা না দিলে কাবুলের দশা হবে কাশ্মীরের, হুমকি মেহবুবার
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি অদূর ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যাবে। যা নিয়ে সুস্থ পরিকল্পনা করে এগোতে হবে। কিন্তু তার আগে মূল লক্ষ্য আফগানিস্তান থেকে আতঙ্কিত মানুষদের নিরাপদস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। সেই লক্ষ্যেই মার্কিন বিমানবাহিনী কাজ করছে।