টোকিওতে শুরু হয়েছে অলিম্পিক। ২৩ জুলাই থেকে শুরু হয় টোকিও অলিম্পিক ২০২০। চলবে ৮ অগস্ট পর্যন্ত। কিন্তু সেখানে অলিম্পিকের কারণে সংক্রমণের হার বেড়েছে বলে জানিয়েছে অলিম্পিক সরকার। অলিম্পিক শুরু হওয়ার পর গত মঙ্গলবার টোকিওতে ২,৮৪৮ জন করোনা আক্রান্ত হন। সেই কারণে এই মহামারীকে রুখতে টোকিওর সকল মানুষ, বিশেষ করে যুবক যুবতীদের টিকা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন রাজ্যপাল ইউরিকো কৈকে। তিনি বুধবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, অলিম্পিক শুরু হতেই ফের মহামারীর আকার নিচ্ছে করোনা। তাকে রুখতে শীঘ্রই টিকা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : পদকের পথে মেরি কম, টোকিওয় দ্বিতীয় রাউন্ডে ছবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
ইউরিকো কৈকে জানিয়েছেন, টোকিওতে প্রাপ্ত বয়স্কদের করোনার টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে গেলেও এখনও অনেকে বিশেষ করে যাঁদের বয়স কম, তাঁদের অনেকেই করোনার দুটো ডোজ পাননি। নতুন ভাবে সংক্রমণ শুরু হতে এই কম বয়সী ছেলে মেয়েরাই বেশি করে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানান কৈকে। হিসেবে বলছে, জাপানের মোট জনসংখ্যার ২৫.৫% মানুষের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। যার মধ্যে ৬৮.২% গ্রহীতা হলেন প্রাপ্তবয়স্ক। টোকিওতে এখন জরুরি অবস্থা চলছে। যত দিন অলিম্পিক চলবে ততদিন এই জরুরি অবস্থা জারি থাকবে। কিন্তু এই অবস্থায় বেশ কিছু এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ। নির্দিষ্ট সময়ের পরেও তাঁদের রাস্তা কিংবা দোকানে দেখা যাচ্ছে। তাঁদের থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : টোকিও অলিম্পিক্সে প্রথম পদক, ভারোত্তোলনে রুপো মীরাবাই চানুর
এই মুহূর্তের করোনা আক্রান্তের হিসাব অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় জাপানে ৫,০২০টি নতুন করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। ফলে এখনও পর্যন্ত জাপানে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮লক্ষ ৭০ হাজার ৪৪৫ এবং মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ১২৯ জনের। কিছু দিন আগে পর্যন্ত জাপানে করোনা সংক্রমণের হার বাকি দেশ গুলির তুলনায় অনেক কম ছিল। সম্প্রতি জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করা এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, জাপানে এখন প্রতি ১ লক্ষ মানুষের মধ্যে ৩.৫৭% মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।