বেজিং : স্কুল চলছে। প্রতিটি ক্লাসে রয়েছে ছাত্রছাত্রী। কিন্তু হঠাৎই খবর পাওয়া যায় যে সেই স্কুলের এক শিক্ষকের করোনা ধরা পড়েছে। আর তারপরেই সরকারের তরফে সেই স্কুলে জারি হয়ে যায় লকডাউন। এমনকি সংক্রমণ যাতে আরও বেশি করে ছড়িয়ে না পরে, তার জন্য স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বাড়িও যেতে দেওয়া হয়নি। এমনই অবস্থা হয়েছে বেজিংয়ের একটি স্কুলে। সেখানে এক শিক্ষক করোনা পজিটিভ হতেই স্কুলে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
গত সোমবার স্কুলের ওই শিক্ষকের করোনা ধরা পড়ে। তারপর থেকেই লকডাউন হয়ে যায় স্কুল। কোনও ছাত্রছাত্রীকে বাড়িতে যেতে দেওয়া হয়নি। যার ফলে সেদিন রাতে স্কুলের সামনে জড় হন ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা। তাঁদের আশ্বস্ত করতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, কয়েকজন পড়ুয়াকে স্কুলেই হোম কোয়ারেন্টাইন থাকতে হবে। তারা বাড়ি যেতে পারবে না। সন্দেহ করা হচ্ছে যে, এই পড়ুয়ারা ওই শিক্ষকের সংস্পর্শে এসেছিল। কত জন পড়ুয়াকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে, এ বিষয়ে সঠিক কোনও তথ্য পাওয়া না গেলেও এক সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, প্রায় ৩৫ জন পড়ুয়াকে কোয়ারেন্টাইন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল। এদের প্রত্যেককেই ২ সপ্তাহের জন্য কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে স্কুলের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন পড়ুয়াদের সঙ্গে একজন করে অভিভাবককে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে। যাদের করোনা টেস্ট করতে পাঠানো হয়েছে, রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সেই সব পড়ুয়াদের স্কুলে থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।