পুষ্টি উপাদানে ভরপুর ফল। পেট ভরানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়। সুস্থ-সবল ভাবে বাঁচতে রোজকারের ডায়েটেও ফল রাখতে বলেন চিকিৎসকেরা। ফল খেলে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, ত্বক ভালো থাকে এবং রোগ থেকে যুক্তি মেলে। তবে আপনি কি জানেন ফল খাওয়ারও একটি সঠিক পদ্ধতি রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক ফল খাওয়ার সময় কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন।
অন্যান্য খাবারের চেয়ে ফল অনেক সহজে এবং তাড়াতাড়ি হজম হয়। ফলের সঙ্গে কিছু অন্য খাবার খেলে শরীরে টক্সিন তৈরি হতে শুরু করে। ফলে হজমের সমস্যা হয়। কারণ আমাদের শরীর প্রথমে ভারী খাবার হজম করে এবং এই প্রক্রিয়ায় ফলগুলি দীর্ঘ সময় শরীরে থাকে। শরীর তাদের পুষ্টি শোষণ করতে অক্ষম হয়। এর ফলে নানা সমস্যা হয়। তাই ফল আলাদা করে খাওয়াই ভালো।
আরও পড়ুন: Mall Washroom | সিনেমা হল বা মলের শৌচালয়ের দরজার নীচ কেন কাটা থাকে?
সূর্যাস্তের পরে বা ঘুমানোর ঠিক আগে ফল খেলে আপনার ঘুম এবং হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। কারণ ফল প্রচুর পরিমাণে চিনি নিঃসরণ করে, যা রাতে ঘুমানোর সময় শরীরে এনার্জির মাত্রা বাড়ায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। তাছাড়া, ফলগুলিতে কার্বোহাইড্রেট থাকে। রাতের বেলা আমাদের বিপাক ক্রিয়া কমে যায় এবং কার্বোহাইড্রেট হজম করা কঠিন হয়ে পড়ে। ফল খাওয়ার পর জল পান করলে পাচনতন্ত্রের পিএইচ মাত্রা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে যে সব ফলে জলের পরিমাণ বেশি, সেগুলি খাওয়ার পরেই জল খাওয়া উচিত না।
ফলের খোসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। উদাহরণস্বরূপ, আপেলের খোসায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি রয়েছে। খোসা সমেত ফল খেলে স্থূলতা এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমতে পারে। এছাড়াও এই জাতীয় ফলের সঙ্গে লবন মিশিয়ে খান অনেকেই। সেক্ষেত্রে হয়কি লবন ফলের স্বাদ বাড়ায় মাত্র। কিন্তু এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। চাট মশলায় থাকা সোডিয়াম কিডনির জন্য একেবারেই ভালো নয় এবং আমাদের শরীরে জলও ধরে রাখে। তাই লবণ বা চাট মশলা ছাড়াই ফল খান। তবেসব্জি বা ফল কাটার পর না ধুলেই ভালো।