শারীরিক ভাবে পুরোপুরি সুস্থ মানুষ এখন প্রায় দেখাই যায় না। আট থেকে আশি সমস্ত মানুষকেই আজকাল কোনও না কোনও রোগে আক্রান্ত। রোজ দিন নতুন নতুন ভাইরাস ও সংক্রমণের কারণে মানুষের শরীরে রজার বাসা বাঁধছে। উদ্বেগের বিষয় হলো, এমন কিছু রোগ আছে যা শরীরে বাসা বাঁধে ও আপনাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়, তবে তা কেউ টেরই পান না। যদিও রোগের উপস্বর্গ জানা গেলে প্রাথমিক অবস্থায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়। তবে কিছু রোগ আছে যেগুলো শনাক্তে অনেক দেরি হয়ে যায়। আর এমন কিছু রোগ আছে যা দীর্ঘদিন ধরে আপনার শরীরে বাসা বেঁধে আপনাকে দিনে দিনে মৃত্যুর দিকে থেলে দেয়।
উচ্চ ক্তচাপ: এফডিএ-মতে উচ্চরক্তচাপ সবচেয়ে বড়ো ঘাতক রোগ। এই রজার যখন খুব একটা দেখা যায় না। তবে যদি এর চিকিৎসা না করা হয় তবে এটি হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক’সহ হার্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে।
উচ্চ কলেস্টেরল: যখন রক্তে এলডিএল বা ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল নামক চর্বিযুক্ত পদার্থের অত্যধিক পরিমাণে জমা হয় তখন তাকে কোলেস্টরল বলে। এটি চর্বিযুক্ত, প্রক্রিয়াজাত খাবার, অ্যালকোহল সেবন ও ধূমপানের মতো বিষাক্ত অভ্যাস ও ব্যায়ামের অভাবের কারণে ঘটে।
আরও পড়ুন: মণিপুর নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট ‘বিভ্রান্তিকর’ মত দিল্লির
ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস দেখা দেয় যখন রোগীর রক্তে অত্যধিক গ্লুকোজ বা চিনির মাত্রা বেড়ে যায়। এটি তখনই হয়, যখন অগ্ন্যাশয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন করে না বা যখন শরীর কার্যকরভাবে ইনসুলিন ব্যবহার করতে পারে না। এটি একটি নীরব রোগ।
ফ্যাটি লিভার: ডিজিজ দুই ধরনের হতে পারে- নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ও অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ, যা অ্যালকোহলিক স্টেটোহেপাটাইটিস নামেও পরিচিত। নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ হলো এক ধরনের ফ্যাটি লিভার, যা অ্যালকোহল সেবনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, যেখানে অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ভারী অ্যালকোহল সেবনের কারণে হয়। ফ্যাটি লিভার রোগ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, আবার এর লক্ষণও তেমন প্রকাশ পায় না। এজন্যই এই ব্যাধিকে নীরব ঘাত বলা হয়। নন অ্যালকোহলিক বা অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এক সময় মারাত্মক লিভার সিরোসিস বা লিভার ক্যানসারের কারণ হতে পারে।