কলকাতা: বাংলার ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্ত শিশুকে ঘিরে পরিবারের উদ্বেগ কাটল। স্বস্তিতে রাজ্য সরকারও। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ওমিক্রন আক্রান্ত বছর সাতেকের শিশুটির (Malda Omicron) লালারস পুনরায় পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছিল। শুক্রবার সেই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ফলে, গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যে ওমিক্রন নিয়ে যে চাপা আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল, তা থেকে আপাতত নিস্তার মিলেছে।
দিন কয়েক আগে আবুধাবি থেকে হায়দরাবাদ হয়ে মা-বাবার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে ফেরে ওমিক্রন আক্রান্ত শিশুটি। কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সোজা মালদার কালিয়াচকে এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে গিয়েছিল পরিবারটি।
হায়দরাবাদ থেকে শিশুটির ওমিক্রন আক্রান্ত হওয়ার খবর আসা মাত্র ওই শিশুটিকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্পেশাল কোভিড আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। একই হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে শিশুটির বোন এবং বাবা-মায়েরও চিকিৎসা চলছিল। শুক্রবার শিশুটির ওমিক্রন নেগেটিভ রিপোর্ট দেখে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, আরও সাত দিন পরিবারটিকে বাড়িতেই কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে।
ওমিক্রন আক্রান্ত এই শিশুটিকে চিহ্নিত করার আগেই এক তরুণী-সহ আরও দু’জনকে কোভিডের নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হয়েছিল। তরুণী ব্রিটেন থেকে ফিরলে, বিমানবন্দরে কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যের অনুমতি নিয়ে সেখান থেকে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যায় পরিবার। পরে জিনোম পরীক্ষায় জানা যায়, বিলেতফেরত তরুণী ওমিক্রন আক্রান্ত নন।
এই ডামাডোলের মধ্যে ১০ ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসতের বাসিন্দা আরও এক ব্যক্তির দেহে করোনা ধরা পড়ে। ৭০-ঊর্ধ্ব ওই ব্যক্তি বাংলাদেশে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলেন। ফিরে আসার পর আরটি-পিসিআর টেস্ট করালে কোভিড ধরা পড়ে। ফলে, তাঁর নমুনাও জিনোম টেস্টে গিয়েছিল। সেই রিপোর্টও নেগেটিভ।
আরও পড়ুন-Omicron: দেশে ওমিক্রনের সেঞ্চুরি!
গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় ১২ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ হাজার ৬৪৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৫০৬ জন। ওমিক্রন ঠেকাতে সবরকম সতর্কতা অবলম্বন করেছে রাজ্য।
এদিকে, শুক্রবারই গোটা দেশে ওমিক্রন আক্রান্ত ১০০ ছুঁয়ে ফেলেছে। রোজই বাড়ছে সংখ্যাটা। হু-র রিপোর্ট বলছে, এই মুহূর্তে বিশ্বের ৭৭টি দেশে ওমিক্রন থাবা বসিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা, ওমিক্রন নিয়ে যা বলা হচ্ছে, তার থেকে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেশি।