মালদহ: একের পর এক রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন (Omicron in West Bengal)। ইতিমধ্যেই দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ ছাড়িয়েছে। তবে বাংলার জন্য রয়েছে স্বস্তির খবর। বুধবার বাংলায় (Omicron) এক শিশুর দেহে ওমিক্রনের হদিশ মিলেছিল। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ওই শিশু মালদহে আত্মীয়ের বাড়িতে ছিল। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার আক্রান্তের কোভিড (Omicron in West Bengal) রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
মালদহের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পাপড়ি নায়েক বলেন, ওমিক্রন আক্রান্ত শিশুর কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের রিপোর্টও নেগেটিভ। আবু ধাবি থেকে হায়দরাবাদ হয়ে বিমানে কলকাতা ফিরেছিল শিশুটি। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তেলেঙ্গানা সরকারের তরফে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সে কথা জানানো হয়।
মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানার বেনিয়াগ্রামের বাসিন্দা ওই শিশু ও তার পরিবারের সদস্যরা মালদহের কালিয়াচকের বালিয়াডাঙায় আত্মীয়ের বাড়িতে ছিল। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ন স্বরূপ নিগম জানান, আক্রান্তের সংস্পর্শে আসায় বাবা-মা এবং অন্যান্যদের করোনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে৷ সেই রিপোর্টগুলি এলে জানা যায়, সমস্ত রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে।
আরও পড়ুন: Omicron: ওমিক্রনে আক্রান্ত মুর্শিদাবাদের ৭ বছরের শিশু, রাজ্যে প্রথম
মালদহ জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আক্রান্তের প্রাথমিক সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ওই শিশু, তার বাবা, দিদি, মা সকলকেই মালদহ মেডিক্যাল কলেজের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হলে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও বেশ কিছুদিন কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে তাঁদের।
দেশের মধ্যে কর্নাটকে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। দুই ব্যক্তির শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাঁদের মধ্যে এক জন দক্ষিণ আফ্রিকা ফিরেছিলেন। দ্বিতীয় জন স্বাস্থ্যকর্মী। তাঁর কোনও ট্রাভেল হিস্ট্রি ছিল না। এর পর গুজরাতের জামনগরে আরও এক জনের দেহে ওমিক্রন। জিম্বাবোয়ে থেকে ফিরেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: Omicron in Delhi: দিল্লিতে আরও ৪ জনের শরীরে ওমিক্রন, মোট আক্রান্ত ১০
করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন ‘ওমিক্রন’ বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। একে উদ্বেগজনক বা ‘ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। ভারতে ওমিক্রনের হদিশ প্রথম মেলে গত বৃহস্পতিবার। তার পর একের পর এক রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাসের নতুন ‘বি.১.১.৫২৯’ রূপ বা ওমিক্রন।