শীতের ঠান্ডা হাওয়া যাতে কাবু করতে না পারে তার জন্য প্রয়োজনমতো গরম জামা পরার পাশাপাশি নানা রকমের ঘরোয়া টোটকা কাজে লাগান অনেকেই। তবে এত কিছু করেও এই শীতে শেষ রক্ষা আর হল না। তাপমাত্রার পারদ নামতে না নামতেই হাঁটুর ব্যথা (knee pain) বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে দৈনন্দিন জীবনে। এই সমস্য যদি আপনারও হয় তা হলে জেনে নিন শীতকালে ঠিক কোন কোন কারণে হাঁটুর ব্যথা (knee pain) হতে পারে-
শীতকালে ব্যারোমেট্রিক প্রেসার কমে যায়
তাপমাত্রার পারদ কম হতেই মাংশপেশিতে খিঁচুনি(muscle pull/cramps ) কিংবা গাঁটে ব্যথা (joint pain) বেড়ে যায়। বিশেষ করে বয়স্কদের মধ্যে যাঁরা এই সমস্যায় আগে থেকেই ভুগছেন তাঁদের হাঁটু ব্যথা দিগুণ হয় । তবে শুধু বৃদ্ধরা নন শীতকালে হাঁটুর ব্যথা (knee pain) বা এই ধরণের একাধিক সমস্যায় কাবু হন কম বয়সীরাও। শীতকালে বাতাসে ব্যারোমেট্রিক প্রেসার (barometric pressure ) কমে যাওয়ায় এই সমস্যা তৈরি হয়।
সাইনোভিয়াল ফ্লুয়েড জমে যায়
শীতের হিমেল হাওয়ায় হাঁটুতে থাকা সাইনোভিয়াল ফ্লুয়েড (synovial fluid) জমে যাওয়ার কারণে হাঁটু ব্যথা হয়। হাঁটুতে থাকা বিষেশ ধরণের এই তরল হাঁটুর হাড়ের জন্য কুশনের (cushion) মতো কাজ করে। আর হাঁটাচলার সময় এই সাইনোভিয়াল ফ্লুয়েড হাড়ের মধ্যে ঘর্ষণ(friction) হতে দেয় না। কিন্তু ঠান্ডায় এই ফ্লুয়েড জমে যাওয়ায় হাঁটা চলা করতে সমস্যা দেখা দেয় বা হাঁটুতে ব্যথা করে।
আরও পড়ুন: শীতের ত্বক সুন্দর ও সতেজ রাখা সহজ কাজ নয় তবে এই কাজ সহজ করবে এই সব ‘লিকুইড ফুড’
রক্ত সরবরাহ
শীতকালে শরীর ঠান্ডা থাকার ফলে হাতে বা পায়ে রক্ত সরবরাহ (blood flow gets affected) গরমকালের তুলনায় কম হয়। কারণ এই সময় শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন হৃদযন্ত্র (heart) ও ফুসফুসে (lungs) রক্ত সরবরাহ বেশি জরুরি হয়ে পড়ে। এর ফলে হাতে পায়ের কাছে যেই সফ্ট টিস্যু (soft tissue) থাকে সেগুলো শীতকালে নমনীয়তা (elasticity) হারায়। আর তখন এরকম হাতে পায়ে যন্ত্রণার সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও শীতকালে দিন ছোট হয়ে যাওয়ায় এবং কাজের ব্যস্ততায় শরীরচর্চা (lack of exercise) করার সময় পান না অনেকে। এর ফলে শরীরের রক্ত সঞ্চালনা তেমন ভাবে হয় না। ফলে হাতে পায়ে খিঁচুনি বা মাংসপেশিতে টানের মতো সমস্যা তৈরি হয়।
অন্যদিকে এই কাজের ব্যস্ততায় রোদে বেশিক্ষণ থাকা বা রোদ পোওয়ানোর সময় পান না অনেকেই। এর ফলে শীতকালে শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব (lack of vitamin D) তৈরি হয়। আর তখন হাঁটুর বাথার মতো সমস্যা দেখা দেয়।